চাকসু নির্বাচনে প্রধান ৩ পদে বিশাধিক প্রার্থী

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছেন ২২ জন

প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ১৯ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। তবে তারা কমিশনের কাছে আপিল করতে পারবেন।

নূরুল মোস্তফা কাজী, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Location :

Chattogram
চাকসু ভবন
চাকসু ভবন |সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে জমজমাট প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে ভিপি, জিএস ও এজিএস- প্রধান তিনটি পদে বিশাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, ভিপি পদে ২৩ জন, জিএস পদে ২১ জন এবং এজিএস পদে ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। সম্পাদকীয় ১৮টি পদে ১০ থেকে ২০ জন পর্যন্ত প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাহী সদস্যের পাঁচটি পদের বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৮০টি।

তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বাইরে থেকেও নির্বাচিত হতে চলেছেন ২২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ২১ জনই ছাত্রী, যারা ছাত্রীদের পাঁচটি হলের ২১টি পদে এককভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ছাত্রদের নয়টি হলের মধ্যে শাহজালাল হলের তিনটি পদেও একজন করে প্রার্থী থাকায় তারাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চলেছেন।

নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব প্রফেসর ড. এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী জানিয়েছেন, প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ১৯ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। তবে তারা কমিশনের কাছে আপিল করতে পারবেন।

এদিকে নির্বাচনে বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম। ভিপি পদে দু’জন, জিএস ও এজিএস পদে একজন করে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সম্পাদকীয় পদে ২৮ জন এবং নির্বাহী সদস্য পদে মাত্র পাঁচজন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রয়েছেন।

তফসিল অনুযায়ী, আগামীকাল বুধবার আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর ১২ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় ২৭ হাজার ভোটার ওই দিন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোটগ্রহণ শেষে গণনা শুরু হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।