নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) রিসার্চ সেলে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে প্রায় ৪৩ লাখ টাকার দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তদন্তে আর্থিক অনিয়ম, হিসাব জালিয়াতি এবং অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ার পর, উক্ত দফতরের কম্পিউটার অপারেটর কাওসার হামিদ চৌধুরী জিকুকে সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তামজিদ হোছাইন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, শিক্ষকদের গবেষণা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে ভ্যাট ও ট্যাক্স বাবদ আদায়কৃত প্রায় ৩০ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে যথাসময়ে জমা না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে জিকুর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কোনো সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়নি। বরং উক্ত অর্থ তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করা হয় এবং পরবর্তীতে নির্দেশনা সত্ত্বেও তা নির্ধারিত অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া হয়নি।
এছাড়া সাম্প্রতিক অডিটে প্রায় ১৩ লাখ টাকা জরিমানাসহ মোট ৪৩ লাখ টাকার আর্থিক গরমিল ধরা পড়ে।
এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি তার বাবা এক মাসের মধ্যে পুরো অর্থ পরিশোধের অঙ্গীকারে তাকে নিজের জিম্মায় নিয়েছেন বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তামজিদ হোছাইন চৌধুরী বলেন, হিসাবে গরমিল এবং আর্থিক কেলেঙ্কারির কারণে তাকে শোকজ করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বাবা এক মাসের মধ্যে এ টাকা ফেরত দিবেন বলে তার জিম্মায় নিয়ে যান। ইতোমধ্যে আমরা আরেকটি নোটিশ দিয়েছি। যেখানে বলা হয়েছে, কেউ যাতে তার সাথে কোনো আর্থিক লেনদেনে না যায়।
তিনি আরো জানান, অফিস কার্যক্রম শুরু হলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ ঘটনায় কাওসার হামিদ এককভাবে দায়ী, নাকি এর সাথে অন্য কেউ জড়িত সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।