শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের মানুষের জন্য কথা বলার ও রাজনীতি করার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এ এস এম আমানউল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান এমন একজন রাষ্ট্রনায়ক, যিনি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও উৎপাদনভিত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে জাতিকে আত্মপরিচয়ের শক্তিতে বলীয়ান করেছিলেন।’
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জিয়া পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এস এম আমানউল্লাহ বলেন, ‘জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা এনে দিয়েছিলেন। তিনি এ দেশে এমন এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিলেন, যেখানে সবাই কথা বলার ও রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। যার ফলেই আমরা আজ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারছি।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের ওপর বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হচ্ছে— কারণ তিনি স্বাধীন দেশের আমলাতন্ত্র, সামরিক বাহিনী ও রাজনীতির মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি উৎপাদনের রাজনীতি চালু করে বাংলাদেশের উন্নয়নের পথ রচনা করেছিলেন।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়া পরিষদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. ফকির রফিকুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম। আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আহমেদ শিশিম ও জিয়া পরিষদ গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি মো: ইয়াকুব মিয়া প্রমুখ।
সঞ্চালনা করেন জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর সরকার এবং স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মো: রবিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অনুষ্ঠানের শুরুতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ও শহীদ জিয়াউর রহমানকে নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।



