তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশে এখন পুরো বিশ্ব প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে। ভবিষ্যতে এ নির্ভরতা আরো বাড়বে। তাই কর্মসংস্থানের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষা জরুরি বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট) আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি একথা বলেন।
‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) পাঠ্যক্রম উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের উদীয়মান দক্ষতায় সজ্জিতকরণ এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থী সহায়ক কর্মসূচির (এসএসপি) সাথে যুক্ত করা’ শীর্ষক এ কর্মশালা যৌথভাবে আয়োজন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের এটুআই (অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন) প্রকল্প।
প্রফেসর আমানুল্লাহ বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ও বিদেশী ভাষায় দক্ষতার অভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে স্নাতক সম্মানে আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) ও ইংরেজি ভাষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বৈশ্বিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কলেজ শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদানে কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সিএসই (কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল) পাঠ্যক্রম তৈরি, শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করা এবং এসএসপির (শিক্ষার্থী সহায়ক কর্মসূচি) সাথে যুক্ত করার কাজ চলছে। এসব কাজে আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ চায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের বেশিভাগ শিক্ষার্থী নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উল্লেখ করে তাদের আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা প্রদানে সহায়তার জন্য আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি।
কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো: নূরুল ইসলাম এবং কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ টি এম জাফরুল আযম। কর্মশালায় ‘উদীয়মান দক্ষতা’ এবং ‘এনআইএসই (জাতীয় তথ্য ব্যবস্থা শিক্ষা)’ সম্পর্কিত উপস্থাপনা প্রদান করেন এটুআই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ দক্ষতা ও কর্মসংস্থান সমন্বয়কারী।
এতে রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক প্রশিক্ষণ দফতরের পরিচালক মোছা. সালমা পারভীন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ডিন ড. এ এইচ এম রুহুল কুদ্দুস এবং আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ধানমন্ডি, গাজীপুরের মডেল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, বিজিআইএফটি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, কলেজ অব টেকনোলজি, নারায়ণগঞ্জ, রাজধানীর এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনাইটেড কলেজ অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, আইডিয়াল ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যান্ড সায়েন্স, উত্তরা ইনস্টিটিউট অব বিজনেস টেকনোলজি, ক্রাউন ইনস্টিটিউট অব বিজনেস টেকনোলজি, ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, ঢাকা কমার্স কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, হাজী আবুল হোসেন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, টাঙ্গাইল, শেরে বাংলা নগর আদর্শ মহিলা কলেজ, বিকেআইআইসিটি-বিসিসি, কোডার্সট্রাস্ট, ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট, কোডম্যানবিডি, থ্রাইভিং স্কিলস, বঙ্গদেব, বিএসসিও ট্রেনিং ল্যাব, বেসিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, নিউ হরিজনস কম্পিউটার লার্নিং সেন্টার, টেকনোভিস্টা লিমিটেড, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট, পিপলঅ্যানটেক, ইনফোসিস্টেম টেকনোলজি লিমিটেড এবং সামায়রা স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিরা।