ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান

এইচএসসি পরীক্ষার ফল খারাপ নয়, এটি বাস্তবতার প্রতিফলন

‘শিক্ষার্থীরা এখন অনেকটাই পড়ার টেবিল থেকে দূরে সরে গেছে, যার প্রতিফলন ফলাফলে দেখা গেছে। অভিভাকদেরও বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ড. খন্দোকার এহসানুল কবির
ড. খন্দোকার এহসানুল কবির |সংগৃহীত

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেছেন, চলতি বছরে প্রকাশিত উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল খারাপ নয়, বরং এটি বাস্তবতার প্রতিফলন।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ঢাকার বকসিবাজারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেছেন।

অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এখন অনেকটাই পড়ার টেবিল থেকে দূরে সরে গেছে, যার প্রতিফলন ফলাফলে দেখা গেছে। অভিভাকদেরও বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।’

পরীক্ষার ফলাফল বিষয়ে তিনি বলেছেন, ইংরেজিতে শিক্ষার্থীরা খারাপ রেজাল্ট করেছে। বিশেষ করে যশোর শিক্ষা বোর্ডে ইংরেজিতে সবচেয়ে বেশি ফেল করেছে। ইংরেজিতে ফেলের হার ৪৫ শতাংশেরও বেশি। অন্যদিকে, ঢাকা ও বরিশাল বোর্ডে ইংরেজিতে কিছুটা ভালো ফলাফল করলেও অন্য বোর্ডগুলোতে খারাপ করার কারণে মোট গড় ফলাফলে পিছিয়ে গিয়েছি আমরা।’

ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইংরেজিতে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) বাদ পড়ায় ইংরেজি বিষয়টি তুলনামূলক কঠিন হয়েছে। এবারের ফলাফল নিয়ে আমাদের চর্চা করতে হবে।’

প্রতিটি শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুওেলাকে মোটিভেটেড করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। যারা ভালো ফলাফল করেছে তাদের অভিনন্দন জানাব।

উল্লেখ্য, মোট ১১টি শিক্ষাবোর্ডে চলতি বছরে গড় পাশের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। বিগত বছরে (২০২৪) পাশের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০ লাখ ৪৭ হাজার ২৪২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। পাস করেছে পাঁচ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৬ জন। নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার নিয়ে এগিয়ে রয়েছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে এবছর শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে ফলাফল খারাপ করেছে। বাসস