নিজ জেলা পাবনার আরিফপুর কবরস্থান চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ মহল্লা কাচারিপাড়া জামে মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে রাত ৯টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার আরিফপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
এর আগে রাত ৭টা ৪০ মিনিটে তার লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। এ সময় শোকের ছায়া নেমে আসে। বাবা-মা ও আত্নীয়স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে তার লাশ মসজিদে রাখা হয়।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে পারিবারিকভাবে বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছিল সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার। পরিবারের আশা ছিল একমাত্র মেয়েকে জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে শ্বশুরবাড়িতে পাঠানোর। কিন্তু তা আর হলো না। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই পরপারে পাড়ি জমালেন এ শিক্ষক।
জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা পাবনার বিশিষ্ট সাংবাদিক পাবনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক ইত্তেফাকের পাবনা প্রতিনিধি ও অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক রুমি খন্দকার এবং পাবনা কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক লুৎফুন্নাহার পলির একমাত্র সন্তান।
১৯৯৫ সালে জন্ম জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা ছোট থেকেই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০০৯ সালে পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং পাবনা মহিলা কলেজ থেকে ২০১১ সালে গোল্ডেন জিপিএ-৫ নিয়ে পাশ করার পর ভর্তি হেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই অনার্স ও মাস্টার্স শেষে ২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন।
বাবা রুমি খন্দকার জানান, ‘জাকসুর নির্বাচনের দায়িত্ব শেষে রাত ১২টার দিকে তিনি শিক্ষক কোয়ার্টারে তার বাসায় যান। পরে সকালে ভোট গণনার কক্ষে ডাকা হলে সেখানে যাওয়ার পর কক্ষে ঢুকার আগেই দরজার সামনে তিনি পড়ে যান তিনি। পরে তার মৃত্যু হয়। গতকাল ভোট গ্রহণের পর আমার সাথে তার কথা হয়েছিল। মৌমিতা নির্বাচন নিয়ে বেশ খুশি ছিল। তার মৃত্যুটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।’