বুয়েট

শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

বুধবার বুয়েটের রেজিস্ট্রার এন এম গোলাম জাকারিয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সংগৃহীত

আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে বুয়েট। বুধবার বুয়েটের রেজিস্ট্রার এন এম গোলাম জাকারিয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়।

বুধবার বুয়েটসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উল্লিখিত দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে ও লাঠিচার্জ করে। এতে অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।

পুলিশের এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের বদলে পুলিশের এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বুয়েট প্রশাসন পুলিশের এ আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, মর্মাহত এবং এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

যথাযথ তদন্ত করে হামলার ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে- বুয়েট প্রশাসন এমনটাই আশা করছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে প্রকৌশলী লিখতে না দেয়া, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাউকে পদোন্নতি দিয়ে নবম গ্রেডে উন্নীত না করা এবং দশম গ্রেডের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্নাতক প্রকৌশলীদের সুযোগ দেয়া- এই তিন দফা দাবিতে মঙ্গলবার শাহবাগ অবরোধ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ডেকে তারা সরে যান।

পরে বুধবার সকাল থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। দুপুর দেড়টার দিকে তাদের দাবি আদায়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে বাধা দেয় পুলিশ।

এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাথে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলি টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী ও পুলিশ সদস্য আহত হন।

এরপর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের সড়ক অবরোধ করেন।

সন্ধ্যার পর উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সাথে বৈঠক করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল।

বৈঠক শেষে ফাওজুল কবির সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা অনাকাঙ্ক্ষিত, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সব অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তবে বৈঠকের আলোচনা নিয়ে গণমাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা।