বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) গাজীপুরস্থ মূল ক্যাম্পাসে মঙ্গলবার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এ আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে নবনির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘জুলাই জাগরণী’র শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম সকাল ১০টায় স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ভিসি বলেন, আমার জানামতে, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে’ আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম স্থাপন করা হয়। জুলাই যোদ্ধাদের ঢেলে দেয়া বুকের তাজা রক্তের ঋণ ও ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা এই ‘জুলাই জাগরণী’ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেছি, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সাহস, সততা ও আদর্শের পথে এগিয়ে যেতে পারে।
অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস পিএইচডি ও বিশেষ অতিথি ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহা: শামীম।
জুলাই জাগরণী স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধনের পর ভিসি অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলামের নেতৃত্বে ‘জুলাই জাগরণী’ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস পিএইচডি, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহা: শামীম, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক বিভিন্ন গ্রাফিতি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ভিসি অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম গ্রাফিতি স্মারকপত্রে স্বাক্ষর করে এ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
এরপর ভিসি উপস্থিত সকলকে নিয়ে গ্রাফিতি প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। দুঃসহ স্মৃতিময় এসব গ্রাফিতি দেখে ভিসি অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম আবেগাপ্লুত হয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রুহের মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য যে, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যথাযোগ্য মর্যাদায় বাউবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাসব্যাপী (৩৬ দিন) আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মঙ্গলবার ছিল শেষ দিন।