গাজীপুরে হিন্দু যুবক জয় কুমার দাস দ্বারা এক মাদরাসার ছাত্রীকে অপহরণ করে টানা তিন দিন ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ওই ধর্ষকের ফাঁসি দাবি করেন।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) মাগরিবের নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে মেইন গেট প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় তারা ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন— জবাব চাই, জবাব চাই’, ‘ইন্টারিম জবাব দে, আমার বোন ধর্ষিত কেন’, ‘ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি চাই ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
জানা যায়, ১৩ বছর বয়সি ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামে। মা-বাবা গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে গাজীপুরের মৌচাকে বাসা ভাড়ায় থাকেন। দুই মাস আগে ওই বাসা থেকে প্রতিবেশী সঞ্জিত বর্মন ও তার শ্যালক লোকনাথ চন্দ্র দাসের সহযোগিতায় ভাগিনা জয় কুমার দাস মেয়েটিকে অপহরণ করে লোকনাথের ভাড়া করা বাসায় নিয়ে যায়। পরে তাকে জোরপূর্বক আটকে রেখে তিন দিন ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে পাশবিক নির্যাতন করে জয় কুমার দাস ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। পরে ধর্ষণের শিকার ওই মাদরাসা ছাত্রীর কান্নাজড়িত একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রমজান বলেন, ‘আমরা হিন্দু, মুসলিম—সবাই সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছি। কিন্তু এটা যদি মুসলমানদের দুর্বলতা মনে করা হয় তাহলে ভুল ভাবছেন। মুসলমান সব সময় সম্প্রীতির সাথে বসবাস করবে; আমরা অন্যায়ের কাছে চুপ করে থাকব এভাবে ভুল ভাববেন না।’
পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু দারদা বলেন, ‘একজন ধর্ষিত বোনের পক্ষে তারা কোনো কথা বলতে পারে নাই। কিন্তু আমরা দেখেছি এ দেশের হাজারো আলেমকে নারী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। নারী ধর্ষণের অভিযোগে আল্লামা মামুনুল হককে এক দিনের ব্যবধানে গ্রেফতার করা হয়েছে। যে আইন দিয়ে আল্লামা মামুনুল হককে গ্রেফতার করা যায় সেই আইন দিয়ে এ কুলাঙ্গারকে গ্রেফতার করা যায় না? আপনাদের কি দেখাতে চান? কি বুঝাতে চান? জাতি আজকে জানতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘এ জায়গা থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই—খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জয়কে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলাতে হবে। শুধু জয় নয়, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা দুর্বৃত্তকে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলানো হবে। আমাদের প্রত্যেকটি বোনকে নিরাপত্তা দিতে হবে। যদি নিরাপত্তা না দেয়া হয় তাহলে সমগ্র বাংলাদেশের তৌহিদি জনতা এর জবাব আদায় করে ছাড়বে, ইনশাআল্লাহ।’