নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) তিন শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।’
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন তারেক (পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি), আহাদ (ভাঙারি দোকানের কর্মচারী) ও শামীম (ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করেন)।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার তিনজন হামলার কথা স্বীকার করেছেন।
তারা জানান, ‘কক্সবাজারে এদের মতো দেখতে তিনজনের সাথে এক সময় তাদের ঝগড়া হয়েছিল। সেই ‘সন্দেহে’ তারা হামলা চালিয়েছেন।’
ওসি লিটন দেওয়ান আরো বলেন, ‘ঘটনার সাথে আরো কয়েকজন জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত করে দ্রুততম সময়ে তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’
পুলিশের এই পদক্ষেপের আগে রোববার বিকেলে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। তারা দাবি করেন, হামলাকারীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। এর আগেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
১২ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী ফেরার পথে নোবিপ্রবির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অনিমেষ দেব নাথ ও তার দু’সহপাঠী হামলার শিকার হন। বেগমগঞ্জের চৌমুহনী এলাকায় একটি লোকাল বাসে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক শিক্ষার্থীর গলা চেপে হত্যা করার চেষ্টা করা হয় এবং অন্যদের কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। হামলাকারীরা শিক্ষার্থীদের কাছে থাকা ছয় হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ারও চেষ্টা করে।
হামলার পরদিনই শিক্ষার্থীরা বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় সাত থেকে আটজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। ঘটনার দু’দিন পর অভিযুক্ত তিনজনকে আটকের খবরে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।