সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবিতে ছাত্রশক্তি’র অবস্থান কর্মসূচি

জাতিসঙ্ঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো মানবাধিকারের নামে সিলেক্টিভ রাজনীতি করছে। আমরা তাদের কাছে দাবি জানাই, এ দ্বিচারিতা বন্ধ করুন এবং ন্যায়বিচারের পক্ষে অবস্থান নিন।

আতাউর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

Location :

Dhaka
সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবিতে ছাত্রশক্তির অবস্থান কর্মসূচি
সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবিতে ছাত্রশক্তির অবস্থান কর্মসূচি |নয়া দিগন্ত

সুদানে চলমান গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা জাতীয় ছাত্রশক্তি’র নেতাকর্মীরা।

রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সুদানে দু’পক্ষের সামরিক ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও বৈশ্বিক খনিজ সম্পদের রাজনীতির বলি হয়ে নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। আর এ হত্যাযজ্ঞে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব আমিরাতসহ বিশ্বশক্তিগুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অর্থনৈতিক সহায়তা দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়া, জাতিসঙ্ঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নীরব ভূমিকা গণহত্যার অপরাধেরই শামিল।

জাতীয় ছাত্রশক্তির যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলের সদস্য ফারহানা ফারিনা বলেন, ‘পৃথিবীর মানুষ আজ সিলেক্টিভ রাজনীতিতে মগ্ন। তারা শুধু ভাইরাল বিষয় নিয়েই কথা বলছে। অথচ মার্কিন আগ্রাসনে যে দেশগুলো ধ্বংস হচ্ছে সেই বিষয়ে কেউ কথা বলছে না। জাতিসঙ্ঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো মানবাধিকারের নামে সিলেক্টিভ রাজনীতি করছে। আমরা তাদের কাছে দাবি জানাই, এ দ্বিচারিতা বন্ধ করুন এবং ন্যায়বিচারের পক্ষে অবস্থান নিন।’

ছাত্রশক্তির জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘সুদানের ঘটনায় বিশ্বসংস্থা ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নীরবতা শুধু লজ্জাজনক নয়, এটি গণহত্যার অপরাধে প্রত্যক্ষ সহযোগিতার শামিল। আমরা দাবি জানাই, সুদানের গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ, আরএসএফ বাহিনীকে বিচারের আওতায় আনা এবং যারা এ হত্যাযজ্ঞে অর্থায়ন করছে তাদেরও শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’

এছাড়া কর্মসূচিতে বক্তারা দেশবাসীকে সুদানের স্বাধীনতাকামী মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে গণহত্যার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে আহ্বান করেন।