ইবিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা, তদন্ত কমিটি গঠন

নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, খেলাফত ছাত্র মজলিস ও জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া।

তাজমুল জায়িম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় |সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিয়ে মারধরের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি ছাত্রসংগঠন। এদিকে বিষয়টি তদন্তে ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (১৪ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অ্যধাপক ড. কামরুজ্জামান, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম। এছাড়া সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মিন্নাতুল করিমকে সদস্য সচিব হিসেবে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, খেলাফত ছাত্র মজলিস ও জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া। একইসাথে তারা জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন খেলায় সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যকার মারামারির ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তিন সাংবাদিককে মারধর করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। একইসাথে এক সাংবাদিকের ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ফোনের তথ্য লোপাট করে তারা। এ ঘটনায় রোববার (১৩ জুলাই) ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এদিকে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পাল্টা সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ এনে প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দেন অর্থনীতির শিক্ষার্থীরা। এদিকে ফোন ছিনিয়ে দেয়ার ২২ ঘণ্টা পর প্রক্টরিয়াল বডি ফোন উদ্ধার করে।