রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার নামে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ জানিয়ে এবার কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে বসেছে এক শিক্ষার্থী। এ কোটা বাতিল না করা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশন শুরু করেন তিনি।
অনশনরত শিক্ষার্থী মো: আসাদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি আসন্ন হল সংসদ নির্বাচনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী।
আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে আমি কাফনের কাপড় নিয়ে অনশনে বসেছি কারণ, যেই কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে এতো রক্ত ঝরেছে সেই মীমাংসিত কোটাকে প্রশাসন কেন আবার বৈধতা দিলো? যতক্ষণ পর্যন্ত না এর সুষ্ঠু সমাধান হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমি আমরণ অনশন চালিয়ে যাব। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে ১৭ বছরের স্বৈরশাসককে দেশ থেক বিতাড়িত করেছি, সেখানে রাবির শিক্ষকদের সিন্ডিকেটও আমরা ভাঙতে পারব। আমি সকল শিক্ষার্থী ভাই-বোনকে আহ্বান করবো যে আমার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে একই কাতারে অনশনে বসে যেতে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি যখন ২০২১ সালে অ্যাডমিশন পরীক্ষা দেই তখন আমার নম্বর ছিল ৬৮.৫। এ নম্বর নিয়ে আমি সংস্কৃতি বিভাগে পড়াশোনা করছি, কিন্তু আমার সাথে একই সেশনে পোষ্য কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা ন্যূনতম পাশ নম্বর নিয়ে আইন, ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞানসহ ভালো ভালো বিভাগে পড়াশোনা করছে। আমি চাই প্রশাসন শিগগিরই এ পোষ্য কোটা নামক বিষফোঁড়া সমূলে উৎখাত করবে।‘
উল্লেখ্য, জানুয়ারিতে পোষ্য কোটা বাতিল করলেও বেশকিছু শর্তসাপেক্ষে আবারো প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্য কোটা) পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৪০ পেয়ে পাশ করা শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানেরা ভর্তির সুযোগ পাবেন।