মাভাবিপ্রবিতে দেয়াল রক্ষায় বালু ফেলা, টেকসই সমাধানে প্রয়োজন নতুন প্রকল্প

নতুন দেয়াল নির্মাণে প্রয়োজন প্রায় সাত লাখ টাকা। বর্তমান বাজেটে কাঁটাতার, পিলারসহ আনুষঙ্গিক খরচ থাকলেও মাটির বস্তা বরাদ্দ ছিল না। আপাতত কলমী বা ঘাস লাগিয়ে টেকানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।

মেহেদী হাসান খান সিয়াম, মাভাবিপ্রবি

Location :

Tangail
মাভাবিপ্রবিতে দেয়াল রক্ষায় বালু ফেলা
মাভাবিপ্রবিতে দেয়াল রক্ষায় বালু ফেলা |নয়া দিগন্ত

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) রাসেল হল সংলগ্ন খালপাড়ের দেয়াল ধসে পড়া ঠেকাতে সম্প্রতি দেয়াল ঘেঁষে বালু ফেলা হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত ঢাল না থাকায় বালু দ্রুত সরে যাচ্ছে, ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই বাঁধ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মুহাম্মদ ফারুক হোসাইন জানিয়েছেন, ‘প্রকল্পে প্রায় ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হলেও স্থায়ী সমাধানের জন্য অন্তত ৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে ফাইল করা হলেও অনুমোদন আসে জুনে। বাজেট ফেরত না যাওয়ার চিন্তা থেকে আপাতত বালু দিয়েই বাঁধ তৈরি করা হয়েছে।’

নির্বাহী প্রকৌশলী জাফর হায়দার জানান, ‘হল প্রভোস্ট এখন জানাচ্ছেন তারা দেয়াল সংস্কার চেয়েছিলেন, কিন্তু কাজ শুরুর আগে আমাদের কিছু বলেননি।’

সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো: নাজমুল হোসাইন বলেন, ‘নতুন দেয়াল নির্মাণে প্রয়োজন প্রায় সাত লাখ টাকা। বর্তমান বাজেটে কাঁটাতার, পিলারসহ আনুষঙ্গিক খরচ থাকলেও মাটির বস্তা বরাদ্দ ছিল না। আপাতত কলমী বা ঘাস লাগিয়ে টেকানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।’

রাসেল হল প্রভোস্ট ড. আবু রাশেদ বলেন, ‘দেয়াল হেলে পড়ছে- এ বিষয়ে সংস্কারের অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু বালু ফেলার সিদ্ধান্তে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। সাধারণ কমনসেন্স অনুযায়ী এখানে মাটি ফেলা উচিত ছিল। আমি এখনো প্রত্যয়ন করিনি। প্রত্যয়নের সময় দেখব আমরা কী চেয়েছিলাম আর প্রকৌশলীরা কী করেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘গত সপ্তাহে বৃষ্টিতে খাল ভরতে শুরু করেছে, আর বালি সরে যাচ্ছে। মৌখিকভাবে জানালে প্রকৌশলীরা বলেছেন আবারো বালু দেয়া হবে। কিন্তু কন্ট্রাক্টর কাজ শেষে চলে গেলে সেটিও ধসে যাবে। তখন কী হবে?’