মাভাবিপ্রবিতে ইসলামের প্রথম নার্স সাহাবীর নামে মেয়েদের খাবার কর্ণার

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় পর্দাশীল নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আল-আসলামিয়া পর্দা কর্ণার’ সংযোজন করা হয়েছে।

মেহেদী হাসান খান সিয়াম, মাভাবিপ্রবি

Location :

Tangail
পর্দাশীল নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আল-আসলামিয়া পর্দা কর্ণার’
পর্দাশীল নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আল-আসলামিয়া পর্দা কর্ণার’ |নয়া দিগন্ত

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় ইসলামের ইতিহাসে প্রথম নারী নার্স সাহাবী রুফাইদা আল-আসলামিয়া (রা:)-এর নামে পর্দাশীল নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আল-আসলামিয়া পর্দা কর্ণার’ সংযোজন করা হয়েছে।

গেল জানুয়ারিতে নারী শিক্ষার্থীরা প্রথমে এস্টেট পরিচালক ড. মো: আশরাফ আলীর বরাবর আবেদন করলেও কোনো পদক্ষেপ না পাওয়ায়, দ্বিতীয় ধাপে ৩০ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ারুল আজীম আখন্দ এবং শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: ফজলুল করীমের বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়ে আল আসলামিয়া পর্দা কর্ণার স্থাপনের দাবি জানান।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, এই অঞ্চলের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে অনেক নারী শিক্ষার্থী পর্দা মেনে চলেন। অ্যাকাডেমিক ব্যস্ততার কারণে হলে বা মেসে খাবারের সুযোগ না থাকায় ক্যাফেটেরিয়াই তাদের প্রধান ভরসা। কিন্তু পর্দাব্যবস্থা না থাকায় তারা স্বাচ্ছন্দ্যে খাবার খেতে পারছিলেন না। যা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।

অবশেষে ৮ আগস্ট নারী শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত কর্ণারটি স্থাপন করা হয়।

কর্ণারের নামকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট নারী শিক্ষার্থীরা জানান, ‘রুফাইদা আল-আসলামিয়া (রা:) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসে প্রথম নার্স। তিনি সাহাবীদের সেবা-শুশ্রূষা করতেন। মদীনায় মসজিদে নববীর পাশেই ছিল তার ‘চেম্বার’ বা তাঁবু, যাকে বলা হতো খাইমাতু রুফাইদা। মদীনায় কেউ অসুস্থ হলে বা যুদ্ধে আহত হলে সরাসরি তার তাঁবুতে চিকিৎসা নিতে যেতেন। তার সময়ে তিনি বহু নারীকে চিকিৎসা বিদ্যা শেখান। তিনি ছিলেন একটি সভ্যতায় নারীর অংশগ্রহণের উজ্জ্বল প্রতীক। এই সম্মানার্থেই কর্ণারটির এই নামকরণ করা হয়েছে।’

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এটি ছিল আমাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত চাহিদা। ভাইস চ্যান্সেলর স্যার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ, এত সুন্দরভাবে বিষয়টি বাস্তবায়ন করার জন্য।’

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রুফাইদা আল-আসলামিয়ার (রা:) নামে নার্সিং কলেজ রয়েছে। যেমন- পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটি কলেজের নাম রুফাইদা (রা:) নার্সিং কলেজ। বাহরাইনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর রয়্যাল কলেজ অফ সার্জনস ইন আয়ারল্যান্ড-এর উদ্যোগে সেরা নার্সকে রুফাইদা (রা:) নার্সিং অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।