১০৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাসে তারুণ্যের মিলনমেলা বসেছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং কেক কেটে তারুণ্যের মিলন উৎসবের উদ্বোধন করেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রেজাউল ইসলাম।
এরপর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বিভাগের প্ল্যাকার্ড নিয়ে অংশ নেন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায়, যা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তারুণ্যের মিলনমেলায় ৩০টি স্টল বসেছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে তৈরি বিভিন্ন খাবার জায়গা পেয়েছে। মেলায় হাস খিচুড়ি, ডিম খিচুড়ি, পিঠা, পায়েস, নুলডস, পুডিং, পানসহ বিভিন্ন খাবারের পসরা বসিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
নেচে-গেয়ে নানা আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন করছেন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই উৎসব মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) পর্যন্ত চলবে।
সকালে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আমজাদ হোসেন, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: ইসমাইল হোসেন সরকার, সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: বোরহান উদ্দিন, কারমাইকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো: হাবিবুর রহমান ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর দিলীপ কুমার রায়।
আলোচনা সভায় কারমাইকেল কলেজের ঐতিহ্য ধরে রাখতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষার মান উন্নয়নে বাজেট, বরাদ্দ বাড়ানোসহ আরো বেশ কিছু যুগোপোযোগী বিভাগ চালু করার দাবি জানান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ১৯১৬ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার গভর্নর লর্ড থমাস ডেভিড ব্যারন কারমাইকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বর্তমানে কারমাইকেল কলেজে ১৯টি বিভাগে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।



