হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) পরিদর্শন করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশন, বাংলাদেশের ফার্স্ট সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল) সেবাস্টিয়ান রিগার ব্রাউন ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার জেসমিন লায়লাসহ একটি প্রতিনিধি দল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের (আইআরটি) আমন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন তারা।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশনের এ দলটি।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিআইপি কনফারেন্স রুমে সেবাস্টিয়ান রিগার ব্রাউন বাংলাদেশে ইইউ’র সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন। একইসাথে তিনি ইউরোপে উচ্চশিক্ষা, ইরাসমুস মুন্ডুসসহ বিভিন্ন স্কলারশিপের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন।
তিনি বলেন, ‘ইরাসমাস মুন্ডাস প্রোগ্রামের জন্য আবেদনের দিক থেকে বাংলাদেশ কয়েক বছর ধরে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত বছর ১৫৬ জন শিক্ষার্থী এ প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।’
উপস্থাপনা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এ অতিথি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারারসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শাখার পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
আইআরটি পরিচালক প্রফেসর ড. মো: আলমগীর হোসাইন বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশনের প্রতিনিধিরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। তাদের কার্যক্রম নিয়ে একটা প্রেজেন্টেশনও দিয়েছেন। সেইসাথে আমাদের বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক অ্যান্ড রিসার্চ এক্সচেঞ্জ এ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কথা হয়েছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুযোগ বয়ে আনবে বলে আশা করি। এছাড়া অক্টোবরের মধ্যে আমাদের স্টুডেন্টদের নিয়ে বড় প্রোগ্রাম করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তারা।‘
আইআরটি’র সহকারী পরিচালক প্রফেসর ড. শরীফ মাহমুদ বলেন, ‘তারা আমাদের দেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে কিভাবে তাদের কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে পারে সেজন্য এসেছেন। এছাড়া আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কি কি সুবিধা পেতে পারে? প্রতিষ্ঠানের সাথে কি ধরনের কোলাবরেশনে যাওয়া যায় সেসব বিষয় তুলে ধরেন তারা।‘
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের অ্যাকাডেমিক স্টাফ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইরাসমুন্ডাসসহ বিভিন্ন প্রেস্টিজিয়াস স্কলারশিপ প্রোগ্রামে সহজেই অন্তর্ভুক্ত হতে পারে সে বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রাকচার, ল্যাব, ক্লাসরুম, লাইব্রেরি সবকিছু পরিদর্শন করে কনভিন্স হয়েছেন এবং আমাদের সাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’