বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) ক্যাম্পাসে ক্লাবসমূহের সহযোগিতায় দিনব্যাপী প্রযুক্তি মেলা ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম লুৎফর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে ওই মেলা ও প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। প্রধান অতিথি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন।
প্রধান অতিথি বলেন ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তি মেলা। আমি সত্যিই খুব অভিভূত হয়েছি যতটা সুন্দর অনুষ্ঠান হবে বলে আশা করেছিলাম, তারচেয়ে বেশি সুন্দর হয়েছে এই আয়োজন। আজকের এই অনুষ্ঠান প্রমাণ করে, আমরা চাইলেই যে কোন অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারি। আশা করি এই প্রতিযোগিতা জাতীয় পর্যায়ে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং প্রযুক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করবে।’
ওই মেলায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার কর্নেল মো: শওকত হুসেন, পিএসসি (অব:), পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্নেল হ্লা হেন মং (অব.), সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: সাজ্জাদ হোসেন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, ইসিই অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার ভূঁঞা, আইন ও বিচার বিভাগের প্রফেসর ড. মো: শহীদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মেজর মো: মনজিনুল মুবীন (অব:), বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষকমন্ডলি, কর্মকর্তা, প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা।
দিনব্যাপী এই প্রযুক্তি মেলায় প্রজেক্ট শো হার্ডওয়্যার, প্রজেক্ট শো সফট্ওয়্যার, প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, আইডিয়া কনটেস্ট (টেকনিক্যাল), আইডিয়া কনটেস্ট (নন-টেকনিক্যাল), থিসিস/প্রজেক্ট প্রপোজাল প্রেজেন্টেশন, টেক ডিবেট, এবং গেইমিং কনটেস্ট (এনএফএস ই-ফুটবল)সহ মোট ৯টি ক্যাটেগরিতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ওই মেলা ও প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি বিভাগের ৩৩টি টিমের ১০৫৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
মেলার দ্বিতীয় পর্বে পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সকল অংশগ্রহণকারীকে সার্টিফিকেট এবং বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও প্রাইজমানি প্রদানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইসিই অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার ভূঁঞা। অনুষ্ঠানের সঞ্চলনা করে সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মাইশা এবং আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী অনিরুদ্ধ।
 


