পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (আইএবি) স্বীকৃতির ব্যবস্থা, একজন অধ্যাপকসহ আটজন শিক্ষক নিয়োগ এবং একহাজার বই বিশিষ্ট লাইব্রেরি স্থাপন করা।
রোববার (৩১ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ফলাফল শূন্য’, ‘মানি না মানবো না, বৈষম্য মানবো না’, ‘স্থপতি হতে এসেছি, অপরাধী নয়’, ‘কী চাই? অধিকার চাই। কোথায় পাবো? IAB তে পাবো’, ‘শিক্ষক চাই, মান চাই, IAB স্বীকৃতি চাই’ প্রভৃতি প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, পাবিপ্রবিতে স্থাপত্য বিভাগ প্রতিষ্ঠার ১২ বছর হয়ে গেলেও বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (আইএবি) এর স্বীকৃতি লাভ করতে পারেনি। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট থেকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। পাবিপ্রবির স্থাপত্য বিভাগের এই স্বীকৃতি না থাকাতে চাকরির ক্ষেত্রে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট যখন একটি বিভাগকে স্বীকৃতি দেয় তখন তখন ওই বিভাগে অনেকগুলো সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হয়। বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের স্বীকৃতি নাই বিধায় এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপত্য বিভাগে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নাই। আমরা চাই প্রশাসন আমাদের সেই সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করুক, সেজন্যই আজকের এই অবস্থান কর্মসূচি।
স্থাপত্য বিভাগের ছাত্র রাশেদুল আলম রিফাত বলেন, ‘আমাদের বিভাগের দীর্ঘদিন ধরে পড়াশোনার পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই। আমরা শিক্ষক সংকটে আছি, আমাদের ল্যাব ছিল না এতদিন, আমাদের বিভাগীয় কোনো লাইব্রেরি নেই। বিগত প্রশাসনকে এই বিষয়গুলো অনেকবার জানানো হয়েছে কিন্তু তারা এর সমাধান করেননি। সে কারণে আজকে আমরা বাধ্য হয়ে কর্মসূচি দিয়েছি।’
খন্দকার নিশাত তাসনিম বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের এই তিনটি দাবি পূরণ করলে আমরা আইএবির স্বীকৃতির জন্য আবেদন করতে পারব। এর বাইরেও আমাদের আরো অনেকগুলো সুবিধা লাগবে। আমরা চাচ্ছি প্রথমে তিনটি দাবি পূরণ করা হোক। এরপরে প্রশাসন পর্যায়ক্রমে স্বীকৃতির জন্য বাকি পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশা করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শামীম আহসান বলেন, ‘স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৩ দফা দাবি নিয়ে আমাদের কাছে এসেছেন। আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি। ভাইস চ্যান্সেলর এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয় ক্যাম্পাসে নাই। উনারা আসলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদের সাথে বসে সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায় আমরা সেটা চেষ্টা করবো।’