ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র সাজিদ আবদুল্লাহর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তার পরিবার। এ সময় সাজিদের লাশ নিয়ে রাজনীতি না করার আহ্বান জানান তারা।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যায় আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতির কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তারা এ দাবি জানান।
এ সময় সাজিদের বাবা আহসান হাবিবুলাহর সাথে তার চাচা, ভগ্নিপতি ও তাদের প্রতিবেশী হোসনি মোবারক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি উপস্থিত ছিলেন।
তারা বলেন, ‘মূলত তদন্ত কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে আমরা ক্যাম্পাসে এসেছি। আমরা দুই তদন্ত কমিটি ও প্রো-ভিসির সাথে কথা বলেছি। তাদের কাছে তদন্তের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। সুষ্ঠু তদন্তের মধ্যে দিয়ে রিপোর্টে যেটা আসবে আমরা সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিব। যদি হত্যা হয়ে থাকে তাহলে আমরা তার সুষ্ঠু বিচার চাচ্ছি।’
তারা আরো বলেন, ‘সাজিদ আবদুল্লাহর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ কোনো রাজনীতি করুক সেটা আমরা চাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। তারা সবাই আমাদের সন্তান। তারা যেন সুন্দরভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হোক। এটাকে কেন্দ্র করে কেউ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করুক সেটা আমরা চাই না।’
এছাড়া সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবার থেকে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জিডি করা হয়েছে। বিষয়টা নিয়ে আমরা আপাতত আর কিছু করতে চাচ্ছি না। সুষ্ঠু তদন্তের পর যদি মনে হয় তখন আমরা ব্যবস্থা নিব।
উল্লেখ্য, ১৭ জুলাই বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে সাজিদের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের পরের দিন সকাল সাড়ে ৯টায় তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্তের আনুমানিক ৩০ ঘণ্টা আগে সাজিদ মারা যায় বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এদিকে পুকুর থেকে সাজিদের লাশ ভেসে ওঠার পর থেকেই তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবিতে ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে ওঠে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসন দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। বর্তমানে তদন্ত কমিটি দুই রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।