একযোগে পাবিপ্রবি’র ৭ প্রশাসনিক পদে রদবদল

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় |নয়া দিগন্ত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) একযোগে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে রদবদল ও নতুন নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

শনিবার (৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের মধ্যে অনেকে প্রথমবারের মতো এসব দায়িত্ব পেয়েছেন, যা প্রশাসনিক পরিসরে নতুন গতি আনবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, যোগদানের তারিখ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ভাতা প্রাপ্য হবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎতা থাকবে।

নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনজন হল প্রভোস্ট, একজন পরিবহন প্রশাসক এবং তিনজন বিশেষায়িত সেলের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ছাত্রীহল-২–এর প্রথম প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লায়লা আরজুমান্দ বানু।

এছাড়া, ছাত্রহল-২–এর প্রথম প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান। ছাত্রহল-১–এর নতুন প্রভোস্ট হয়েছেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলুল হক, যিনি এর আগে এই দায়িত্বে ছিলেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থাপনা আরও সুশৃঙ্খল ও কার্যকর করতে পরিবহন পুলের নতুন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মীর হুমায়ূন কবীর।

প্রশাসনিক দক্ষতা ও একাডেমিক উদ্যোগ সম্প্রসারণে তিনটি সেলের পরিচালনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইনস্টিটিউট অফ ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট (IIED)–এর পরিচালক হয়েছেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আমিরুল ইসলাম।

সেল ফর ন্যাশনাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কোলাবোরেশন (CNIC)–এর দায়িত্ব পেয়েছেন ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ রাসেল আল আহম্মেদ। এছাড়া, রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজি ট্রান্সফার সেল (RTTS)–এর নতুন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: লোকমান আলী।

একযোগে এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে পরিবর্তনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তারা মনে করছেন, এ ধরনের রদবদলে প্রশাসনিক কার্যক্রম যেমন গতিশীল হবে, তেমনি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতেও তা সহায়ক ভূমিকা রাখবে।