বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে যে সময়টা আছে এর মধ্যেও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।’ এক মাসের প্রস্তুতি নিয়েও সেটা করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ-আলোচনা সেটার করার আহ্বান জানাচ্ছি ।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বাকৃবি শাখার আয়োজন ২০২৪-২৫ সেশনের নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টাযর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামে ওই নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে এক হাজারের বেশি নবীন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এসময় জাহিদুল ইসলাম আরো বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে আপনি যদি খেয়াল করেন ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি কথা বলেছি ও দাবি উত্থাপন করেছি। এখানকার শিক্ষার্থীদের দাবি যেহেতু বাকসু নির্বাচন নিয়ে আছে। আমরা আশা করব প্রশাসন এটি বিবেচনা করবে এবং আমরা ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে দাবি জানাচ্ছি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসন যেন সেই উদ্যোগ গ্রহণ করে।’
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে শাখা শিবিরের সভাপতি আবু নাছির ত্বোহার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: জাহিদুল ইসলাম।
এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো: রহুল আমিন, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু জোফার মো: মোসলেহ উদ্দিন, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: মশিউর রহমান, অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় গবেষণা সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক শরীফ মাহমুদ । এছাড়াও শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
নবীন বরণে শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় ব্যাগ, টিশার্ট, প্যাড, বই, কলমদানী ও চাবির রিং উপহার দেয়া হয়। কৃষিবিষয়ক বিভিন্ন সেক্টর ও চাকরি ক্ষেত্রে সফল শিবিরের সাবেক নেতারা এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিকের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোকপাত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: জাহিদুল ইসলাম আরো বলেন, ‘ইসলামী ছাত্রশিবির সবসময় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির বিপক্ষে। ইসলাম ও রাষ্ট্রের স্বার্থে যারা কাজ করবে, শিবির তাদের সহযোগিতা করবে কিন্তু কখনো লেজুড়বৃত্তি করবে না। এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিক্স চলবে না। এখন আর জোর করে মিছিলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলারও সাহস কেউ পাবে না, ৫ আগস্টে এর কবর রচনা হয়ে গেছে।’
অমুসলিম ও নারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নারীদের বিষয়ে শিবিরের বিরুদ্ধে একটা শ্রেণির যে প্রোপাগান্ডা, সেটি তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপপ্রচার, যার কোনো ভিত্তি নেই। অমুসলিমদের প্রতি ইসলামের উদার নীতিকে শিবির ধারণ করে।’



