ভারতে অনুপ্রবেশ করা ৫ বাংলাদেশীকে হস্তান্তর করল বিএসএফ

এর আগে, ফেনীর বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে আইনবহির্ভূতভাবে ৪ দফায় ৬৭ বাংলাদেশীকে পুশইন করে বিএসএফ।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সংগৃহীত

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা পাঁচ বাংলাদেশীকে ফেনী সীমান্তে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।‌ কাজের সন্ধানে ভারতে যাওয়ার পর ওই দেশের পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে ছিলেন তারা।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাতে তাদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি।

সীমান্তে অপমানজনক পুশইনের ঘটনা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হওয়ায় এবার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশী নাগরিকদের হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।

হস্তান্তর করা বাংলাদেশীরা হলেন- ফেনীর পরশুরাম উপজেলার উত্তর গুথুমা গ্রামের খায়েজ আহাম্মদের ছেলে সাইদুজ্জামান ভূঞা (২৯), একই উপজেলার নিজকালিকাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো: এমদাদ হোসেন (২৭), ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দূর্গাপুর সিংহ নগরের ফয়েজ আহাম্মদের ছেলে মো: গিয়াস উদ্দিন (২৯), নওগা জেলার আবু জাফরের ছেলে মো: রাফি (২৫) ও চাঁদপুর জেলার কদরা গ্রামের হেদায়েত উল্লাহর ছেলে আবুল বাশার (৫৫)।

পুলিশ ও বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, ওই পাঁচজনের মধ্যে সাইদুজ্জামান, এমদাদ, গিয়াস ও রাফিকে ১২ এপ্রিল ভারতের মনুমুখ এলাকা থেকে আটক করে দেশটির পুলিশ। ভারতের অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে আটকের পর তারা ৩ মাস যাবৎ সেখানে কারাগারে ছিলেন। মুক্তির পর ১৬ আগস্ট পর্যন্ত তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়, পরে বিএসএফের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

অন্যদিকে, আবুল বাশারকে ৯ জুন ভারতের উদয়পুর থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি ১ মাস যাবৎ ভারতীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন।

ফেনী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, বিজিবির মাধ্যমে পাঁচজন বাংলাদেশীকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আমরা তাদের নাম-ঠিকানা যাচাই করে দেখছি। তাদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।

এর আগে, ফেনীর বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে আইনবহির্ভূতভাবে ৪ দফায় ৬৭ বাংলাদেশীকে পুশইন করে বিএসএফ।