মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী হস্তান্তরের জন্য ভারতকে নতুন করে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) পাঠানো ওই চিঠির বিষয়টি রোববার (২৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরশুদিনই (শুক্রবার) চিঠি দেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা দণ্ডিত হওয়ার তাকে হস্তান্তরের জন্য ভারতকে প্রথমবারের মতো চিঠি দিলো বাংলাদেশ।
অবশ্য দিল্লিতে আশ্রয় নেয়া শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের অনুরোধ জানিয়ে ভারতকে এর আগে গত বছরের ২০ ও ২৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চিঠি দিলেও ভারত ওইসব চিঠির কোনো উত্তর দেয়নি।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পর ওই দিন বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত এই ব্যক্তিদের দ্বিতীয় কোনো দেশ আশ্রয় দিলে তা হবে অত্যন্ত অবন্ধুসুলভ আচরণ এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞার শামিল। আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন অনতিবিলম্বে দণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই ব্যক্তিকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। দুই দেশের মধ্যে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে দুজনকে হস্তান্তর করাটা ভারতের জন্য অবশ্যপালনীয় দায়িত্বও বটে।’
পরে এই রায় নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘একটি নিকট প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি, স্থিতিশীলতাসহ বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা সব সময় সব অংশীজনের সাথে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকব।’
গত জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১৭ নভেম্বর রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। একই মামলায় রাজসাক্ষী হওয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।



