বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ-নেপাল বৈঠক

বৈঠকে উভয় দেশ কিভাবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করা যাবে এবং বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করে বাণিজ্য ভারসাম্য উন্নত করা সম্ভব হবে তা নিয়ে মতবিনিময় হয়।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাংলাদেশ-নেপাল বৈঠক
বাংলাদেশ-নেপাল বৈঠক |সংগৃহীত

বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে নেপালের সাথে বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শফিকুর রহমান নেপাল চেম্বার অব কমার্সের (এনসিসি) আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে সংস্থার কার্যালয় পরিদর্শন করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূতের সাথে চেম্বারের চেয়ারম্যান কমলেশ কুমার আগরওয়ালের নেতৃত্বে চেম্বারের সদস্যদের ফলপ্রসূ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এনসিসি নেপালের প্রাচীনতম বাণিজ্য সংগঠন, যা বাণিজ্য ও ব্যবসা সহজীকরণের কাজে নিয়োজিত এবং চলতি বছর তার কার্যক্রমের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে।

চেম্বারের চেয়ারম্যান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়ে সংগঠনের কার্যক্রম ও উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বাংলাদেশের পক্ষের বাণিজ্য ঘাটতি ও দু’ দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য পরিস্থিতি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন।

বৈঠকে উভয় দেশ কিভাবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করা যাবে এবং বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করে বাণিজ্য ভারসাম্য উন্নত করা সম্ভব হবে তা নিয়ে মতবিনিময় হয়।

এনসিসি চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেন, সার্ক, বিবিআইএন ও বিমস্টেকের মতো আঞ্চলিক সংগঠন ও উদ্যোগগুলো কাজে লাগিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি উভয় দেশ ও অঞ্চলকে উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত করবে।

রাষ্ট্রদূত মো: শফিকুর রহমান দু’ দেশের ঐতিহাসিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্মরণ করে কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিশেষ করে খাদ্য উৎপাদন, কৃষি-ব্যবসা, মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে আলোকপাত করেন।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে শক্তিশালী ও গতিশীল অংশীদারত্ব গড়ে তোলা প্রয়োজন, যা ভ্যালু চেইন সৃষ্টি করে বাণিজ্য ও বাজারে প্রবেশাধিকারে সহায়তা করবে।

রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বিদ্যুৎ ও পর্যটন খাতে যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি করা সম্ভব। এছাড়া বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলো নেপালের পণ্য পরিবহনে ব্যবহার এবং নেপালের জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর পারস্পরিক সুযোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন যে, দূতাবাস উভয় দেশের ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক নীতি ও পদক্ষেপ গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।

বৈঠকে দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি (ট্রেড, প্রমোশন ও কালচার) উপস্থিত ছিলেন। ইউএনবি