মালদ্বীপের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময়, কারিগরি সহায়তা প্রদান এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্থানীয় প্রশাসন, দক্ষ কর্মীবাহিনী এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে সহযোগিতা করা হবে।
মালদ্বীপে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. মো: নাজমুল ইসলাম শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) মালেতে দেশটির নগর, স্থানীয় সরকার ও গণপূর্ত মন্ত্রী আদম শরীফ উমরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ প্রতিশ্রুতি দেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সাক্ষাৎকালে তারা বিকেন্দ্রীকরণ, স্থানীয় শাসন এবং সরকারি খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেন। বন্ধুত্বপূর্ণ দু’ দেশের মধ্যে পারস্পরিক শিক্ষা ও প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারিত্বের ওপর জোর দেন তারা।
মালদ্বীপের নগর, স্থানীয় সরকার ও গণপূর্ত মন্ত্রী আদম শরীফ উমর বাংলাদেশকে একটি নির্ভরযোগ্য উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে প্রশংসা করেন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা জোরদার করার ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি কমিউনিটিভিত্তিক উন্নয়ন, ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রঋণ মডেলগুলোতে বাংলাদেশের সাফল্য থেকে শেখার উৎসাহ দিয়ে বলেন, ক্ষেত্রগুলো অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও গ্রামীণ ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
মালদ্বীপের মন্ত্রী সে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের অবদানের প্রশংসা করেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রতি মালদ্বীপ সরকারের অব্যাহত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং প্রশাসন ও মানবসম্পদ উন্নয়নে কারিগরি সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার জন্য বাংলাদেশের আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেন।
উভয় পক্ষই সহযোগিতা প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরে কাজ করতে সম্মত হন।
উভয় দেশের জাতীয় অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ স্থানীয় ক্ষমতায়ন, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়নে বর্ধিত সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-মালদ্বীপ অংশীদারিত্বকে আরো দৃঢ় করার যৌথ প্রতিশ্রুতি দিয়ে বৈঠকটি শেষ করা হয়।



