গাজার অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করা ও গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা বহনকারী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরের ৪২টি নৌযানের ৪১টিই আটক করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এ ঘটনায় ইসরাইলের প্রতি কঠোর নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পানিসীমায় ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ আটকে দেয়াকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ইসরাইলের ব্যবহারের ন্যক্কারজনক ঘটনা বলে বর্ণনা করেছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ ছিল অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করা বৃহত্তম ফ্লোটিলা এবং এটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন গাজায় ইসরাইলি অভিযানের সমালোচনা ক্রমবর্ধমান হচ্ছে, যেখানে তাদের আক্রমণের ফলে বিস্তৃত ভূখণ্ড ধ্বংস হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা বহনকারী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামক নৌবহরকে আন্তর্জাতিক পানিসীমায় ইসরাইলি বাহিনী কর্তৃক আটক করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার অবিলম্বে সব আটক মানবাধিকারকর্মী ও শান্তিকামী কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং তাদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, বাংলাদেশ ইসরাইলকে তার অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ ও মানবিক অবরোধ তুলে নিতে জরুরিভাবে আহ্বান জানাচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা বহরটি দখলদার ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে বিশ্বব্যাপী সংহতির প্রতিনিধিত্ব করে। ইসরাইলকে অবশ্যই গাজায় অবাধ প্রবেশাধিকার দিতে হবে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, মানবিক সহায়তা নৌবহরটি দখলদার ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বৈশ্বিক সংহতির প্রতিনিধিত্ব করে। ইসরাইলি বাহিনীর উচিত গাজায় বেসামরিক জনগণের জন্য বাধাহীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ এই চরম দুর্দশা ও ভোগান্তির সময়ে ফিলিস্তিনের জনগণের সাথে অবিচল সংহতি বজায় রাখার কথা পুনরায় নিশ্চিত করেছে।
সূত্র : ইউএনবি এবং অন্যান্য