বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আজ ঢাকাকে আশ্বস্ত করেছেন যে- ইয়ারলুং জাংবো নদীর উপর চীনা পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশসহ ভাটির দেশগুলোতে পানির প্রবাহকে প্রভাবিত করবে না, কারণ এটি কেবল বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাস্তবায়িত হচ্ছে।
পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চীনা রাষ্ট্রদূত এখানে পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠককালে পরররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেনকে জানিয়েছেন যে- ‘চীন প্রকল্প থেকে কোনো পানি প্রত্যাহার করবে না বা ব্যবহার করবে না এবং প্রকল্পটি ভাটির দেশগুলোকে প্রভাবিত করবে না।’
ইয়ারলুং জাংবো নদীর গ্রেট বেন্ডের কাছে চীনের একটি বৃহৎ পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের ফলে পানি প্রবাহের উপর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে ভাটির দেশগুলোর উদ্বেগের পটভূমিতে এই আশ্বাস দেয়া হয়েছে। এই নদীটি ভারতে প্রবেশের পরে ব্রহ্মপুত্রে পরিণত হয় এবং যমুনা নদী হিসেবে বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বরাবরই বলে আসছে যে- এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো নদীর পানি প্রবাহ কোনোভাবে বিঘ্নিত না করে দূষণমুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং আঞ্চলিক কার্বন হ্রাস করা।
বৈঠককালে উভয় পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছে এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরো জোরদার করার উপর জোর দেয়া হয়েছে।
চীনা রাষ্ট্রদূত বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফরের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন এবং এগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, মৎস্য, সবুজ জ্বালানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
রাষ্ট্রদূত কুয়ালালামপুরে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেছেন, যেখানে উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছে।
বিশেষ করে চলতি বছর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের পরিপ্রেক্ষিতে উভয় দেশ সহযোগিতা এবং জনগণের সাথে জনগণের বিনিময় বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে।