২০২৯ সালের পরও ইইউতে জিএসপি+ সুবিধা পেতে ফ্রান্সের সহায়তা কামনা ঢাকার

বিদায়ী ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপি আজ বুধবার রাজধানীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ রাষ্ট্রদূতের কাছে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বিদায়ী ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপি আজ পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন
বিদায়ী ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপি আজ পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন |সংগৃহীত

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন আশা প্রকাশ করেছেন যে- ২০২৯ সালের পরও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধা ধরে রাখতে ফ্রান্স বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে। বিশেষত বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিদায়ী ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপি আজ বুধবার রাজধানীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ রাষ্ট্রদূতের কাছে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

উপদেষ্টা বলেন, অগ্রাধিকার-ভিত্তিক বাজার প্রবেশাধিকার অব্যাহত রাখা বাংলাদেশের উন্নয়নগত গতিশীলতা রক্ষা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাঠামোয় বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় এবং বৈশ্বিক মঞ্চে বাংলাদেশের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় ফ্রান্সের দীর্ঘদিনের সহযোগিতার প্রশংসা করেন।

সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে মারি মাসদুপির অবদানকে উচ্চমূল্যায়ন করেন এবং উল্লেখ করেন যে- সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তা ক্রমবর্ধমান ও ফলপ্রসূ হয়েছে।

ঢাকায় তার মেয়াদ শেষ করা ফরাসি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে তার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ ছিল উল্লেখ করে সরকারের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, নিয়মিত দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ দু’দেশের সম্পর্ক আরো গভীর এবং শক্তিশালী করবে।

উপদেষ্টা বিশেষ করে রোহিঙ্গা সঙ্কটকে আন্তর্জাতিক অজেণ্ডায় অগ্রাধিকার দেয়া ও সহায়তার জন্য ফ্রান্সকে ধন্যবাদ জানান। তবে তিনি সতর্ক করেন যে- বিষয়টির প্রতি বৈশ্বিক মনোযোগ কমছে, তাই ফ্রান্সের মতো অংশীদারদের পুনরায় ও ধারাবাহিক সমর্থন অপরিহার্য, যাতে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত হয় এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও দ্রুত প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়।