২০২৬ সালে বাংলাদেশী ৩ লাখ পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্যমাত্রা মালয়েশিয়ার

‘শক্তিশালী পর্যটন সম্পর্ক এবং অফিসিয়াল ই-ভিসা সিস্টেমের যথাযথ ব্যবহার ভ্রমণ আরো সহজ করবে।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাংলাদেশী তিন লাখ পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্যমাত্রা মালয়েশিয়ার
বাংলাদেশী তিন লাখ পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্যমাত্রা মালয়েশিয়ার |সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ শুহাদা ওসমান বলেছেন, ২০২৬ সালে ‘ভিজিট মালয়েশিয়া ইয়ার’ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে তিন লাখ বাংলাদেশী পর্যটক আকর্ষণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘শক্তিশালী পর্যটন সম্পর্ক এবং অফিসিয়াল ই-ভিসা সিস্টেমের যথাযথ ব্যবহার ভ্রমণ আরো সহজ করবে।’

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ক্রিস্টাল বলরুমে মালয়েশিয়া ট্যুরিজম ফেয়ার এবং ‘ভিজিট মালয়েশিয়া ইয়ার-২০২৬’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদ শুহাদা ওসমান বলেন, ‘বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী এবং দ্রুত-বর্ধনশীল পর্যটন বাজার। পর্যটন খাত পুনরুজ্জীবিত করার কৌশলের মধ্যে বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য লক্ষ্যভিত্তিক প্রচারণা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশনে কিছু ভ্রমণকারীকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে হাইকমিশনার বলেন, ‘আবেদনকারীরা অফিসিয়াল পোর্টাল ব্যবহার করলে ই-ভিসা প্রক্রিয়া ‘পদ্ধতিগত ও সহজ’ সুবিধা পাবে।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আবেদন করলে অসঙ্গতি দেখা দিতে পারে, যা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।’

নাগরিকদের সরাসরি অফিসিয়াল ই-ভিসা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদন করার আহ্বান জানান তিনি, যার লিঙ্ক নিয়মিতভাবে হাইকমিশনের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে পরামর্শের জন্য নির্দ্বিধায় আসতে পারেন। প্রয়োজনে সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ‘ফেস্টিভ্যাল মালয়েশিয়া’ উদ্বোধন করেন মোহাম্মদ শুহাদা। তিনি বলেন, ‘এ উদ্যোগ ‘মালয়েশিয়া ট্রুলি এশিয়া-ভিজিট মালয়েশিয়া ২০২৬’ থিমের আওতায় মালয়েশিয়ার সংস্কৃতি, আতিথেয়তা এবং ভ্রমণ সুবিধার ব্যাপারে আরো প্রচার করবে।’

তিনি মালয়েশিয়ার পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং ট্যুরিজম মালয়েশিয়াসহ ইভেন্টের অংশীদারদের দ্বিপক্ষীয় পর্যটন সহযোগিতা জোরদারে সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।

মালয়েশিয়া পর্যটন মেলায় এয়ারলাইনস, ট্যুর অপারেটর, শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ মোট ২২টি ভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। বাসস