বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে মিসরীয় উদ্যোক্তাদের আমন্ত্রণ জানালেন রিজওয়ানা হাসান

বাংলাদেশ ও মিসরের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ইতিহাস, সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বাংলাদেশের অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পর্যটন ও আতিথেয়তা খাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে মিসরের উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে মিসরীয় বিপ্লবের ৭৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

রিজওয়ানা হাসান মিসরের জাতীয় দিবসে সে দেশের সরকার ও জনগণকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মিসরের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ইতিহাস, সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

নিজের মিসর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, মিসরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, জাদুঘর এবং নীল নদের অবিনশ্বর সৌন্দর্য তাকে মুগ্ধ করেছে। মিশরের প্রতিটি নাগরিক তাদের গৌরবময় ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য গর্ব করতে পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বাণিজ্য, শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ-মিসর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সম্প্রসারণের কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ও মিসরের মধ্যে সরাসরি আকাশ যোগাযোগ চালু হওয়াকে তিনি জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার প্রসঙ্গে তিনি ২০২৫ সালের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই অভ্যুত্থান একটি নতুন জাতীয় সংলাপের সূচনা করেছে- যা হবে সমতা, ন্যায়, মর্যাদা এবং বৈষম্যহীনতার ভিত্তিতে গঠিত।

তিনি বাংলাদেশ-মিসর সম্পর্ক আরো জোরদারে মিশরীয় দূতাবাসের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে কায়রোতে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সফর এবং ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র দফতরের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেন।

রিজওয়ানা হাসান মিসরের পক্ষ থেকে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তাবিত বৃত্তির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং জাতিসঙ্ঘ, ওআইসি-র মতো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে মিসরের সাথে বাংলাদেশের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর মোহি এলদিন আহমেদ ফাহমিও বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ ও বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।