বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হতে পারে।
বুধবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উচ্চপ্রতিনিধি খলিলুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করেছি। এক্ষেত্রে আশাবাদী থাকতে আমাদের কাছে সঙ্গত কারণ আছে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম মজুমদার এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
যদি তাই হয়, তাহলে এটি হবে মোদি-ইউনূসের প্রথম সরাসরি কোনো বৈঠক। বৈঠকে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন ড. ইউনূস।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। এর আগে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদি-ইউনূসের বৈঠকের আয়োজনে কূটনৈতিকভাবে ভারতের কাছে প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ।
আগামী ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ঢাকায় বিমসটেকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ২৬তম সম্মেলনের আয়োজন করবে।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জসিম উদ্দিন বলন, ‘মোদির সাথে ইউনূসের বৈঠক হলে দু’দেশের সম্পর্ক ঘিরে যে টানাপোড়েন চলছে, তা কেটে যাবে।’
এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদি। এতে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করতে চাওয়া হয়েছে। মোদি বলেন, ‘দু’দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’
সোমবার (৩১ মার্চ) রাতে প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখার প্রকাশিত বার্তায় এমন তথ্য জানা গেছে। পবিত্র রমজান মাস যখন শেষ হয়ে আসছিল, তখন সেই সময়টিকে ড. ইউনূসকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাতে কাজে লাগান মোদি।
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) একটি আঞ্চলিক জোট। ১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংককে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠকে একটি নতুন আন্তঃআঞ্চলিক জোট গঠন করা হয়।
বিমসটেকের মূল উদ্দেশ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা। ব্যবসা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, পর্যটন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, মৎস্য সম্পদ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পোশাক ও চামড়া শিল্পসহ আরো অনেকগুলো ক্ষেত্র বিমসটেকের মূল উদ্দেশের সাথে জড়িত।
সূত্র : ইউএনবি