বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন

বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে ও চাইনিজ পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিজের সহযোগিতায় ১৪ অক্টোবর স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

চীন প্রতিনিধি
অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য
অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য |নয়া দিগন্ত

চীনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে, বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে।

বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে ও চাইনিজ পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিজের সহযোগিতায় ১৪ অক্টোবর স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীনের ১৪তম ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লুওসাং জিয়াংছুন। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাইনিজ পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিজের ভাইস-প্রেসিডেন্ট লু সিয়াংদং, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিউ বিন ও মেজর জেনারেল জাং বাওছুনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: নাজমুল ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে দুই দেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন এবং ভবিষ্যত সহযোগিতা আরো জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী ৫০ বছরে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরো গতিশীল ও অর্থবহ করে গড়ে তুলব।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্মারক খাম ও বিশেষ ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হয়। এছাড়া বিশিষ্ট অতিথিরা আনুষ্ঠানিকভাবে কেক কেটে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি উদযাপন করেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের একজন সাবেক রাষ্ট্রদূতসহ মোট তিনজন বিশিষ্ট চীনা নাগরিক ও দুইটি প্রতিষ্ঠানকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সাংস্কৃতিক পর্বে বাংলাদেশের শিল্পী ইমন চৌধুরী ও তার দল ‘বেঙ্গল সিম্ফনি’ ও ‘ডি রকস্টার’ তারকা শুভ ও অনি হাসান অংশ নেন। তারা লালন সাঁই, হাসন রাজা, শাহ আব্দুল করিম, আব্বাসউদ্দীন ও আইয়ুব বাচ্চুর গান পরিবেশন করে সকলকে মন্ত্রমুগ্ধ করেন। চীনের শিশু-কিশোররা নৃত্য পরিবেশন করে যা দর্শকদের প্রশংসা কুড়ায়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পর্যটন, বিনিয়োগের সুযোগ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরা হয় ভিডিওচিত্র ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে। অতিথিদের বাংলাদেশী পাটের তৈরি ব্যাগ, ম্যাগাজিন ও পর্যটন বিষয়ক প্রকাশনা উপহার দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের মোট ৩০০ জনেরও বেশি রাষ্ট্রদূত, চীনা সরকারি কর্মকর্তা, সাবেক রাষ্ট্রদূত, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশ নেন।