সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক

বিএসআইএ সভাপতি এম এ জব্বার এবং এইচএসআইএ’র সহ-সভাপতি প্রফেসর ওয়েই লিউ নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন এবং হুবেই সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন এবং হুবেই সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত |সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও চীন সেমিকন্ডাক্টর খাতে সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআইএ) এবং হুবেই সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (এইচএসআইএ)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

বিএসআইএ সভাপতি এম এ জব্বার এবং এইচএসআইএ’র সহ-সভাপতি প্রফেসর ওয়েই লিউ নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

সোমবার (২৫ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এই সমঝোতা স্মারকের অধীনে, বিশেষ করে জ্ঞান ও উন্নত প্রযুক্তি বিনিময়, যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম, দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব, যৌথ ইভেন্ট, বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ও এক্সপো আয়োজনের ক্ষেত্রে দু’ অ্যাসোসিয়েশন একসাথে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে।

এ সহযোগিতা বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেমের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং নবতর উদ্ভাবন ও সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এইচএসআইএ’র সহ-সভাপতি ও উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটস’র অ্যাকাডেমিক কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ওয়েই লিউ বলেন, ‘উহানকে বলা হয় চীনের অপটিক্যাল ভ্যালি, যেখানে শত শত অপটিক্যাল যোগাযোগ ও সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি রয়েছে। ৬০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রায় ১৩ লাখ শিক্ষার্থী নিয়ে উহান প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের একটি শক্তিশালী কেন্দ্র।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রয়েছে বিপুল মেধাবী জনশক্তি, যা শুধু প্রযুক্তি বিনিময় নয় বরং প্রকৌশলী প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা-গবেষণা সহযোগিতায় অসাধারণ সম্ভাবনা তৈরি করবে। এইচএসআইএ’র অধীনে প্রায় ৫০০টি সেমিকন্ডাক্টর সদস্য কোম্পানি রয়েছে, যার মধ্যে কিছু কোম্পানিকে আমরা বাংলাদেশে নিয়ে এসে যৌথ উদ্যোগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচিতে যুক্ত করতে চাই।’

এ সহযোগিতা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বিএসআইএ সভাপতি এম এ জব্বার বলেন, ‘আজকের এই কর্মসূচি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার পাশাপাশি অ্যাকাডেমিক বিনিময় এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির নতুন দ্বার উন্মুক্ত করবে। এটি বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর ভ্যালু চেইনে আমাদের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।’ বাসস