হাই কমিশনার

মালয়েশিয়ায় কলিং ভিসায় কর্মী প্রেরণ নিয়ে মন্তব্যের এখনো সময় হয়নি

নবনিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় কলিং ভিসায় কর্মী প্রেরণের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রচার করতে হবে।

আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায় নবনিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী
মালয়েশিয়ায় নবনিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী |নয়া দিগন্ত

মালয়েশিয়ায় কলিং ভিসায় বাংলাদেশী কর্মী প্রেরণের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী।

তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে মন্তব্য করার পর্যাপ্ত সময় হয়নি। বাংলাদেশ থেকে পুরোদমে কর্মী পাঠানোর বিষয়টি এখনো একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ফলে শ্রমবাজার সংক্রান্ত ভুল তথ্য দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে মালয়েশিয়ান সরকারের কাছে জবাবদিহি করতে হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের হলরুমে প্রবাসী সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, শ্রমবাজার সংক্রান্ত সংবাদ যাচাই-বাছাই করে সঠিকভাবে প্রচার করা প্রয়োজন। আমাদের এ বিষয়ে আরো ধৈর্য্য ধারণ করে অপেক্ষা করতে হবে।

এ সময় প্রবাসী সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করে সাধারণ প্রবাসীদের সঠিক তথ্য পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৫ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশীর বসবাস। অনেক সময় সাধারণ প্রবাসীদের সঠিক তথ্যের ঘাটতি থাকে। তারা মধ্যস্বত্বভোগীদের কথাই বেশি শোনেন, ফলে তারা বিভ্রান্ত হন। সাংবাদিকরা সহজেই প্রবাসীদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন এবং তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারেন। এতে দূতাবাস ও প্রবাসীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি সম্ভাব্য সমাধানের পথও তুলে ধরার চেষ্টা করা উচিত।’

অনিয়মিত প্রবাসীদের বৈধতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সফরের সময় মালয়েশিয়ার সরকারের সাথে আলোচনা হয়েছে। বৈধতা দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মালয়েশিয়ার সরকারের অধীনে।’

সভায় ডেপুটি হাই কমিশনার মোসাম্মাত শাহানারা মনিকাসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বছর থেকে কলিং ভিসায় বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগ স্থগিত রেখেছে মালয়েশিয়ার সরকার। এ প্রক্রিয়ায় শ্রমিকে নিয়োগে সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির অভিযোগ। তবে চলতি অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখে কলিং ভিসায় আবারো বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের জন্য বৈধ রিক্রুটিং অ্যাজেন্সির নামসহ ১০টি শর্ত দিয়ে চিঠি দিয়েছে মালয়েশিয়ার সরকার।