বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরো জোরদারে নেপাল রাষ্ট্রদূতের আহ্বান

নেপালের পররাষ্ট্র নীতির অগ্রাধিকার, নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান গতিশীলতা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় যৌথভাবে সমৃদ্ধি ও সংযোগের ক্ষেত্রে সার্ক, বিমসটেক এবং বিবিআইএন উদ্যোগের মতো আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামোর গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্ক
বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্ক |সংগৃহীত

নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি, শিক্ষা, পর্যটন ও দু’ দেশের জনগণের মধ্যে বিনিময় এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক : বর্ধিত অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগত সহযোগিতার পথ’ শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রদূত ভান্ডারী তার বক্তব্যে দক্ষিণ এশীয় দু’ প্রতিবেশীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব এবং ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করেন। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচনের জন্য অর্থনীতি ও শিক্ষাখাতে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির প্রয়োজনের ওপরও জোর দেন তিনি।

নেপালের পররাষ্ট্র নীতির অগ্রাধিকার, নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান গতিশীলতা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় যৌথভাবে সমৃদ্ধি ও সংযোগের ক্ষেত্রে সার্ক, বিমসটেক এবং বিবিআইএন উদ্যোগের মতো আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামোর গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।

পরে মুক্ত আলোচনায় শিক্ষার্থী ও অনুষদ সদস্যদের সাথে বিস্তারিত আলাপ করেন রাষ্ট্রদূত। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

এর আগে, ডিআইইউ ভিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে পৃথক বৈঠকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং নেপালের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অনুষদ এবং শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচিসহ অ্যাকাডেমিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়েও আলোচনা করা হয়। বাসস