এলডিসি থেকে উত্তরণের আগে বাণিজ্য আলোচনায় সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, বাংলাদেশের উত্তরণ একটি ‘অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের আহ্বান’।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন |সংগৃহীত

২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে বাণিজ্য আলোচনায় সক্ষমতা জোরদার করার তাগিদ দিয়েছেন জাতীয় সংলাপে অংশগ্রহণকারী বক্তারা।

রোববার ঢাকায় ‘রিফ্লেকশন্স অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড : বিল্ডিং ন্যাশনাল ক্যাপাবিলিটিস ইন ট্রেড নেগোশিয়েশনস’ শীর্ষক এক জাতীয় সংলাপে বক্তারা এই আহ্বান জানান।

যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও)-এর অর্থায়নে এবং ইউএনডিপির ট্রান্সফর্মেটিভ ইকোনমিক পলিসি প্রোগ্রামের (টিইপিপি) সহায়তায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই সংলাপের আয়োজন করে।

সংলাপে বক্তারা বলেন, রফতানি প্রবৃদ্ধি টিকিয়ে রাখা, বাজার বৈচিত্র্যকরণ এবং ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য দক্ষ বাণিজ্য আলোচক তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে ট্রেড নেগোসিয়েশন স্কুল আমাদের আলোচকদের জটিল বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতিতে দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করবে।’

প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘বাণিজ্যিক আলোচনা কোনোভাবেই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নয়। এর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন, বিশেষজ্ঞ দক্ষতা, নির্ভরযোগ্য জ্ঞান এবং সাফল্যের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, ‘বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের বাণিজ্য আলোচক তৈরিতে সহযোগিতা করতে পেরে যুক্তরাজ্য গর্বিত। একটি আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির পথে বাংলাদেশকে সমর্থন করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, বাংলাদেশের উত্তরণ একটি ‘অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের আহ্বান’।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের উচিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কৌশলের একটি নতুন প্রজন্ম তৈরি করা, অনুকূল চুক্তি আলোচনা করা এবং বৈশ্বিক ফোরামে এর স্বার্থ রক্ষা করা। এই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দক্ষ এবং কৌশলগত বাণিজ্য আলোচকদের একটি দল, এবং আমি আনন্দিত যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এমন একটি দল গঠন করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান। এ সময় নবগঠিত বাণিজ্য আলোচক দলের সদস্যদের সনদ প্রদান করা হয়।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও শিক্ষাঙ্গনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গঠিত এ দলটি দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ফোরামে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক স্বার্থ অগ্রসর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি শাখা) মো: আবদুর রহিম খান, বাংলাদেশে ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনমিক অ্যাডভাইজার ওয়াইস প্যারে এবং আরএপিআইডি’র চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাকসহ আরো অনেকে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।