রাজধানীর পল্লবী থানার যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়া হত্যা মামলায় দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)।
তারা হলেন হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারী সোহেল ওরফে ‘পাতা সোহেল’ ওরফে মনির হোসেন ও বুক পোড়া সুজন।
আজ বুধবার দুপুরে র্যাব-৪ এর মিডিয়া অফিসার মেজর মোহাম্মদ আবরার ফয়সাল সাদী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় পল্লবীর পুরোনো থানার কাছে সি ব্লকে একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যা মামলার ঘটনায় র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী সোহেল ওরফে ‘পাতা সোহেল’ ওরফে মনির হোসেন ও বুক পোড়া সুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বিকেলে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। মামলায় আসামিরা হলেন মো: জনি ভূঁইয়া (২৫), সোহেল ওরফে পাতা সোহেল ওরফে মনির হোসেন (৩০), সোহাগ ওরফে কাল্লু (২৭), মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম (২৮) ও রোকন (৩০)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামি পাতা সোহেল ও আসামি মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। তারা পূর্ব পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিলে আসামিদের মধ্যে এক নম্বর আসামি জনি ভূঁইয়া, সোহাগ ওরফে কালু ও রোকন ওই দোকানে অতর্কিতভাবে প্রবেশ করে। কেউ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিস্তল দিয়ে চোয়ালে, গলার ডান পাশে, বাম কানের পেছনে, ঘাড়ের পেছনে, বুকের ডান পাশে, বুকের বাম পাশে, ডান হাতের বাহু, বাম হাতের কনুই, বাম হাতের কবজিসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি গুলি করে। গুলির পর রক্তাক্ত অবস্থায় দোকানের ফ্লোরে পড়ে গেলে আসামিরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরপর ভাড়াটে খুনি জনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়ালো তিনজনে।



