রাজধানীর হাইকোর্ট-সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের কাছে ড্রাম থেকে খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় নিহত আশরাফুল হকের (৪৩) বন্ধু মো: জরেজকে (৪২) প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত পরিচয় আরো বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) নিহতের ছোট বোন আনজিরা বেগম রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ হত্যা মামলা করেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আশরাফুলের বন্ধু জরেজকে প্রধান আসামি করে এজাহার দায়ের করেছেন আনজিরা বেগম। হত্যার ঘটনা তদন্ত চলছে এবং আসামি গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আশরাফুল হক দিনাজপুর হিলি বন্দর থেকে গোটা বাংলাদেশে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, আলুসহ কাঁচামাল সরবরাহ করতেন। গত ১১ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে জরেজকে নিয়ে ঢাকায় আসেন। এরপর থেকে আশরাফুলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের সন্দেহ, জরেজ তার সহযোগী অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের সহযোগিতায় ১১ নভেম্বর রাত থেকে ১৩ নভেম্বর রাতের মধ্যে যেকোনো সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে আশরাফুল হককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ থেকে মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ মোট ২৬টি খণ্ডে খণ্ডিত করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে দু’টি নীল রঙয়ের ড্রামের ভেতর ভরে ড্রামের মুখ কালো রঙয়ের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ফেলে রেখে অজ্ঞাতস্থানে পালিয়ে যায়।
আশরাফুল ইসলামের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর নয়া পাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুর রশীদের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আশরাফুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাত সোয়া ৭টার দিকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে পরিচয় শনাক্ত করে। সিআইডির টিম লাশ ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে তার পরিচয় বের করে। পরে পরিচয় জানাজানি হলে স্বজনরা তার ছবি দেখে নিশ্চিত হন।



