পৃথক অভিযানে ১৩৫ কোটি টাকা মূল্যের মাদক জব্দ, বিদেশীসহ গ্রেফতার ৫

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক গোলাম আজম এসব তথ্য জানান।

নিজস্ব প্রতিবেদক
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সংবাদ সম্মেলন
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সংবাদ সম্মেলন |নয়া দিগন্ত

রাজধানীতে পৃথক অভিযানে প্রায় ১৩৫ কোটি টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক বিদেশী নাগরিকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে আদাবর থেকে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম আইস, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, পল্টন থেকে ২৮০ গ্রাম কুশ ও বিমানবন্দর থেকে ব্রাজিল থেকে আনা প্রায় ১৩০ কোটি টাকা মূল্যের কোকেন।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক গোলাম আজম এসব তথ্য জানান।

মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশ কাস্টম ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের যৌথ অভিযানে গায়ান রিপাবলিকের নাগরিক কারেন পেটুলাকে ৮ কেজি ৬০০ গ্রাম কোকেনসহ গ্রেফতার করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৩০ কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, গায়ান ব্রাজিল থেকে কোকেনগুলো নিয়ে আমেরিকাসহ তিনটি দেশ হয়ে বাংলাদেশে আসে। তার দেয়া তথ্যমতে, কোকেনগুলো বাংলাদেশ হয়ে অন্য একটি দেশে যাওয়ার কথা ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ‘গত সোমবার গোপন সংবাদে অধিদফতরের উপপরিচালক শামীম আহমেদের নেতৃত্বে একটি দল আদাবর থানার বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটির একটি বাসায় অভিযান চালায়। এসময় তারা মো: খাইরুল ইসলামকে চার হাজার পিস অ্যামফিটামিনযুক্ত ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যে মো: তোফায়েল হোসেন শান্ত ভাড়াকৃত শেখেরটেকের বাসায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে একাধিক মাদক মামলার আসামি মিলন মোল্লার দখল থেকে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম ভয়ঙ্কর মাদক মিথাইল অ্যামফিটামিন আইস উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মাদক ব্যবসার মূল মালিক মো: সৌরভ ইসলাম শান্ত ওরফে মো: তোফায়েল (পলাতক), ইয়াছমিন আক্তার আঁখি (পলাতক) আসামি গ্রেফতারকৃত মিলন মেল্লার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

অপর একটি অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো: মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে পল্টন মডেল থানার পুরাতন ডাক বৈদেশিক ডাক থেকে টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনলযুক্ত কুশ ২৮০ গ্রাম উদ্ধার করে শহীদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি মো: শহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে শুকুর মোহাম্মদ রিপনকে গ্রেফতার করা হয়।