মুন্সীগঞ্জে অটোরিকশাচালক হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৫

গত ৩ নভেম্বর সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রতনপুর মধ্যপাড়া সরকারবাড়ি ব্রিজসংলগ্ন ডোবায় ভেসে থাকা অবস্থায় মজিবলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ

Location :

Munshiganj

মুন্সীগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর ডোবা থেকে উদ্ধার হওয়া অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ মজিবল মাঝি (৪৪) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মাত্র ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে এ হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।

নিহত মজিবল মাঝি বরিশালের হিজলা উপজেলার চর কুশারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকার ইসলামবাগ ঈদগাহ মাঠ আলীর ঘাট এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করতেন এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি অটোরিকশা নিয়ে গ্যারেজ থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে তার পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে।

খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে গত ৩ নভেম্বর সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রতনপুর মধ্যপাড়া সরকারবাড়ি ব্রিজসংলগ্ন ডোবায় ভেসে থাকা অবস্থায় মজিবলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের হাত-পা বাঁধা এবং বিছানার চাদর ও কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়।

পুলিশ জানায়, ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে নিশ্চিত হয়ে মুন্সীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও অভিযানে অংশ নিয়ে পুলিশ দ্রুত হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন—সোহাগ মোল্লা (৪৩), জয় (৩১), ইমরান (৩০), হারুন (৫১), এবং আলী হোসেন (৪০)।

তদন্ত টিমের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তারা জানান, মজিবল মাঝিকে মাওয়া যাওয়ার কথা বলে ফুঁসলিয়ে মুন্সীগঞ্জ থানার পঞ্চসার ইউনিয়নের বানিক্যপাড়া এলাকায় ইমরানের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। সেখানে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করার পর হাত-পা বেঁধে হত্যা করা হয়। পরে বিছানার চাদর ও কম্বলে মুড়িয়ে সোহাগের অটোরিকশায় করে লাশ রতনপুর এলাকায় ডোবায় ফেলে দেয়া হয়।

হত্যার পরদিন তারা অটোরিকশাটি ৯৫ হাজার টাকায় হারুনের কাছে বিক্রি করেন। পরে হারুন রামসিং আলীর গ্যারেজে নিয়ে ১ লাখ ১ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।

পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল তায়্যব বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার রহস্য উন্মোচন এবং আসামি গ্রেফতার পুলিশ বাহিনীর সাফল্য। ঘটনার পেছনে যারা রয়েছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’