দেড় কোটি টাকার ওপরে বকেয়া এবং গ্যাস চুরির অভিযোগে সাভারে অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন এজেআই গ্রুপের কারখানার দু’টি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি।
বিল বকেয়া এবং মিটার টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে চুরির অভিযোগে গেল রোববার (১৯ অক্টোবর) হেমায়েতপুরের ওই কারখানার দু’টি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং মিটার জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসনের ভিজিল্যান্স টিমের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলীম রাসেল।
তিতাস কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কারখানাটির এক কোটি ৫৬ লাখ টাকার বকেয়া রয়েছে এবং মিটার টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস চুরির প্রমাণ পাওয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ওই দিন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে শ্রমিকদের অবরোধের মুখে পড়েন তিতাস কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে এজেআই গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অনন্ত জলিল বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই কারখানা নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে।’
তবে তিনি অনিয়মের দায় অস্বীকার করে বলেন, ‘মাসে এক কোটি ২০ লাখ টাকা লাভ দেবে-এই শর্তে পাঁচ বছর মেয়াদে চলতি বছরের ১ মে মো: জুয়েল ইসলাম নামে একজনকে পলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ডাইংয়ের সব সেকশন ইজারা দিয়েছিলাম। সে গ্যাস বিল বকেয়া রেখে এবং মিটার টেম্পারিং করে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। তার (জুয়েল) বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মামলা দিয়েছি।’
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসনের সাভার আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এজেআই গ্রুপের কারখানায় তিনটি সংযোগ রয়েছে। তৈরি পোশাক কারখানা বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল হলেও টেক্সটাইল চলত গ্যাসে। টেক্সটাইলের দু’টি সংযোগের (সংকেত নম্বর-৩৩৮০০০৪০৪ ও ৮৩৮০০০৪০৪) বিপরীতে বকেয়া বিল রয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, ‘আমরা বকেয়া আদায় করতে গিয়ে দেখি গ্যাস চুরি হচ্ছে। তাই মিটারগুলোও জব্দ করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী ‘চোরাই’ গ্যাসের মূল্য বাবদ জরিমানা ও বকেয়া বিল প্রদান সাপেক্ষে সংযোগ পুনরায় চালু করা হবে।’
তবে তৈরি পোশাককারখানার অপর সংযোগটি অন্তত জলিল ও তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষার মালিকাধীন এবি গ্রুপের নামে। চাইনিজ একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেয়া ওই প্রতিষ্ঠানের গ্যাস বিল নিয়মিত আছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। ইউএনবি