খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় পূজা দেখতে যাওয়া ত্রিপুরা কিশোরীকে স্ব-গোত্রীয় যুবকদের দ্বারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে রিমন ত্রিপুরা (২২) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এপর্যন্ত মোট ৩ ত্রিপুরা যুবককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে আরও এক যুবক।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে তাকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌধুরী ঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার রিমন ত্রিপুরা উপজেলার গোমতি ইউনিয়নের হেয়াসা ত্রিপুরার ছেলে। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় রনি বিকাশ ত্রিপুরা (৩২) ও ডেটল বাবু ত্রিপুরা (১৭) নামে আরও দুজনকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ায় খালাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসা ভুক্তভোগী কিশোরী সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে স্বজনদের সঙ্গে বেলছড়ি ইউনিয়নের অযোধ্যা কালী মন্দিরে পূজা দেখতে যায়। সেখানে একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে একা পেয়ে প্রলোভনে ফেলে মন্দির এলাকা থেকে কিছু দূরে নিয়ে গিয়ে রনি বিকাশ ত্রিপুরা ও সুমন বিকাশ ত্রিপুরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সঙ্গে থাকা অপর দুজনও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ধর্ষণের পর কিশোরী অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরবর্তীতে ধলীয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
এঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয়ভাবে হেডম্যান-কার্বারির মাধ্যমে সালিশ ডাকলে রনি বিকাশ ত্রিপুরা ও ডেটল বাবু ত্রিপুরা সেখানে উপস্থিত হয়। এসময় উপস্থিত লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় চার জনকে আসামি করে ওই কিশোরীর বড় বোন একটি মামলা দায়ের করেছেন। রিমন ত্রিপুরাসহ মোট তিন জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আরেক যুবককে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



