রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ছিনতাইয়ের অভিযোগে উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শরীফ ও নাটা ফয়সাল নামে দু’জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোরে দু’দফায় এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সুজন ওরফে বাবুল (১৯) ও মোহাম্মদ হানিফ (২৫)। এর মধ্যে সুজন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার চরটিট্রা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে বলে জানা গেছে। আর উভয়ই মোহাম্মদপুরের বছিলা ৩ নম্বর রোড এলাকার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই ও ডাকাতির চারটি করে মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মোহাম্মদপুর নবীনগর হাউজিংয়ের ১৬ নম্বর হাক্কারপাড়া রাস্তার ওপর ছিনতাই করার সময় উত্তেজিত জনতা ছিনতাইকারী শরীফ ও সুজন ওরফে বাবুলকে (১৯) ধরে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। একই রোডে ছিনতাই করতে গিয়ে পিটুনিতে আহত হন নাটা ফয়সাল ও মোহাম্মদ হানিফ (২৫)। পুলিশ হানিফকে উদ্ধার করে জাতীয় অর্থোপেডিক (পঙ্গু) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় শরীফ ও নাটা ফয়সালকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, রাত ৩টার পরে স্থানীয় জনতা শরীফ ও সুজন ওরফে বাবুলকে গণপিটুনি দেয়। পরে আহত অবস্থায় তাদের পুলিশের গাড়িতে করে হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে সুজন মারা যায়। এরপর ভোররাতের দিকে ফয়সাল ও হানিফকে ওই স্থানীয় জনতাই গণপিটুনি দেয়। পরে তাদের দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হানিফের মৃত্যু হয়।