ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ট্রলিতে ফেলে যাওয়া সেই তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করা গেছে।
সোমবার রাতে স্বামী পরিচয় দেয়া এক ব্যক্তি লাশটি ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যান। অজ্ঞাত পরিচয় সেই নারীর লাশ শনাক্ত করেছেন স্বজনরা।
মঙ্গলবার বিকেলে দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে এসে তার বড় বোন খালেদা ও বোনের জামাই মামুন লাশ শনাক্ত করেন।
নিহতের বড় বোন খালেদা আক্তার জানান, আমার ছোট বোন রাশেদা আক্তার (২২) মাগুরা সদর উপজেলার পুখুরিয়া গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে। সে মাগুরার আলোকদিয়া অমরেশ বসু ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির প্রস্তুতি নেয়ার জন্য ১৬ দিন আগে মাগুরা থেকে ঢাকা মিরপুরে আমার বাসায় আসে। পড়ালেখার পাশাপাশি মিরপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত।
তিনি অভিযোগ করেন, গ্রামের মোহাম্মদ মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ নয়ন ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে রাশেদাকে উত্ত্যক্ত করত। নয়নের যন্ত্রণায় আমার বোন ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারত না, সেই নয়নই আমার বোনকে হত্যা করে ঢাকা মেডিক্যালে ফেলে রেখে গিয়েছে। আমরা এই ঘটনায় নয়নসহ যারা জড়িত সবার কঠিন বিচার চাই।
নিহতের বোনের জামাই মামুন জানান, শনিবার রাশেদা কর্মস্থলে যায়নি। রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। পরে জানা যায়, নয়ন মিরপুরে রাশেদার বাসার সামনের একটি দোকানে তাদের দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর থেকেই রাশেদা নিখোঁজ ছিলেন এবং তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম আজম জানান, নিহতের স্বজনরা মঙ্গলবার রাতে এসে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।


