পূর্বধলায় মামলার ঘটনায় দাফনের আড়াই মাস পর শিশুর লাশ উত্তোলন

মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য তার এ লাশ তুলা হয়।

Location :

Netrokona
কবর থেকে তার লাশ তুলে পুলিশ
কবর থেকে তার লাশ তুলে পুলিশ |নয়া দিগন্ত

নেত্রকোনার পূর্বধলায় মৃত্যুর আড়াই মাস পর কবর থেকে রানা (৭) নামে এক শিশুর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য তার এ লাশ তুলা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানার উপস্থিতিতে গোহালাকান্দা ইউনিয়নের কান্দুলিয়া গ্রামের কবর থেকে তার লাশ উঠায় পুলিশ।

জানা যায়, রানা নানার বাড়ি কান্দুলিয়া গ্রামে থেকে পড়াশোনা করত। রানার বাবা রাজিব মিয়া ও মা নাদিরা খাতুন ঢাকায় থাকেন। গত ৩০ জুন রানা পুকুরে পড়ে মারা গেছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এলাকায় গুঞ্জন ওঠে রানা দুর্ঘটনায় নয়, হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী শাকিব (১১) নামে এক শিশুর মাধ্যমে জানা যায়, ঘটনার দিন সাবেক ইউপি মেম্বার আ: রাজ্জাকের ছেলে মো: শহিদ মিয়া (৪৮) সিগারেট আনতে রানাকে দোকানে পাঠায়। রানার শ্রবণশক্তি কম থাকায় সে সিগারেটের পরিবর্তে ভুসি নিয়ে আসে। এতে শহিদ তাকে জোড়ে থাপ্পড় দিলে রানা অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তাকে পাশের ফিশারির পানিতে ফেলে দিয়ে হত্যা করে বলে রানার বাবা অভিযোগ করেন। এ নিয়ে রানার বাবা গত ২৩ জুলাই নেত্রকোনা আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম জানান, নেত্রকোনা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে পুলিশের একটি টিম লাশ উত্তোলন করে ফরেন্সিক এক্সপার্টাইজের কাছে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’