সিলেটের বিয়ানীবাজারে এক কিশোরীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে বিষয়টি স্থানীয় কিছু মহল ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। তবে ঘটনার ছয় দিন পর ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার বিয়ানীবাজার থানায় অভিযোগ করেছেন।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার লাউতা ও মোল্লাপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি বাজারে জুমার নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলায় হলেও তারা দীর্ঘদিন থেকে ওই এলাকায় বসবাস করে আসছেন। এদিকে অভিযুক্ত নবদ্বীপ বৈদ্য (৫৫) লাউতা ইউনিয়নের লাউতা গ্রামের বাসিন্দা ও কালিবাড়ি বাজারে তার দীর্ঘদিনের পুরনো টেইলার্সের দোকান রয়েছে।
জানা যায়, গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় কালিবাড়ি বাজারে নবদ্বীপ বৈদ্যের টেইলার্সের দোকানে সন্দেহজনক অবস্থায় এক কিশোরী ও দোকানের মালিককে দেখতে পান কিছু যুবক। পরে তারা ভিডিও ধারণ করেন। পরে এ ব্যাপারে কিশোরীকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার সাথে খারাপ কিছু হয়েছে বলে জানায়। পরে বাজার কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে বিষয়টির সাময়িক সমাধান হয়। পরে ক্ষুব্ধ যুবকেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ তুলে সমালোচনা করেন।
সরেজমিনে ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, কিশোরীর সাথে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও তিনি প্রাথমিক অবস্থায় পরিবারের কাছে মুখ খুলেনি। তবে ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয়রা তার পরিবারকে বিষয়টি সোমবার অবহিত করেন এরপর তারা বাজার কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, ‘তারা স্থানীয় না হওয়ায় প্রথমে ভয়ে কাউকে বলেননি। তবে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দেরিতে হলেও প্রথমে বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে গিয়েছেন। তিনি তার মেয়ের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিচারের দাবি করেন। একইসাথে বিয়ানীবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান।’
ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপার অভিযোগের ব্যাপারে কালিবাড়িবাজার বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্দ্বীপ পাল বলেন, ‘আমরা শুক্রবার জটলা দেখে বিষয়টি সাময়িকভাবে যাতে বড় না হয় সেই চেষ্টা করেছি। ঘটনার সত্য-মিথ্যা আমাদের জানা নেই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত টেইলার্স নবদ্বীপ বৈদ্যের বাড়িতে গেলে তিনি কথা বলতে রাজী হননি।
তবে তার পরিবারের সদস্যরা জানান, ‘তিনি অসুস্থ, ঘটনাটি সত্য না মিথ্যা এখনো জানি না। ঘটনায় ভীত সন্তস্ত্র অবস্থায় রয়েছি।’
বিয়ানীবাজার থানার তদন্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছবেদ আলী জানান, মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি, লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।