নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় ছয় মাস হলো উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) নেই। ফলে অসংখ্য মিসকেস ফাইল জমা হয়ে আছে ও অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে জমির মালিক ও জমি বিক্রেতাদের চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে তৎকালীন অ্যাসিল্যান্ড আমিনুল ইসলাম বদলি হওয়ার পর থেকে এই পদ শূন্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর ই আলম সিদ্দিকী অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এই পদে নিয়োজিত থাকলেও সব সময় এখানে সেবা দিতে পারছেন না। কারণ তিনি একই সাথে সৈয়দপুর পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করছেন।
তাই গুরুত্বপূর্ণ এই দফতরটিতে গত ছয় মাস ধরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কোনো রকমে খাজনা খারিজের কাজ চলমান থাকলেও জটিল কাজগুলো আটকে আছে। বিশেষ করে জমির রেকর্ড ও দলিল সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি তথা মিসকেসগুলো ফাইলবন্দি অবস্থায় পড়ে থাকছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অভাবে।
এতে অবর্ণনীয় ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। কবে নাগাদ এই সমস্যার সমাধান হবে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। এমন অনিশ্চয়তার ফলে ভোগান্তি আরো দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি ক্ষেত্রে মানুষ চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে দ্রুত একজন অ্যাসিল্যান্ড প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘ভূমি অফিসের ভোগান্তি লাঘব ও কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার লিখিত দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো কর্মকর্তা পাইনি। তবে আমার সাধ্য অনুযায়ী অন্য দায়িত্বের পাশাপাশি চেষ্টা করছি গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সমাধানের।