নোয়াখালীতে ভারী বর্ষণে পানিতে তলিয়ে গেছে মাইজদী

জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও

নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা আরজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ভোর থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৯২ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

মুহাম্মদ হানিফ ভুঁইয়া, নোয়াখালী অফিস

Location :

Noakhali Sadar
জলাবদ্ধতা সমাধানের দাবিতে নোয়াখালী প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও
জলাবদ্ধতা সমাধানের দাবিতে নোয়াখালী প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও |নয়া দিগন্ত

নোয়াখালীতে সাড়ে তিন ঘণ্টার ভারী বর্ষণে পানিতে তলিয়ে গেছে জেলা শহর মাইজদী। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।

এ ঘটনায় বুধবার (২১ মে) দুপুরে জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানের দাবিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও করে মাইজদী আল-ফারুক অ্যাকাডেমির কয়েক শ’ শিক্ষার্থী।

গত মঙ্গলবার রাতে ও আজ বুধবার সকালে সাড়ে তিন ঘণ্টার ভারী বর্ষণে জেলা প্রশাসক, জজকোর্ট, ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল সড়ক, নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সড়ক, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, আল-ফারুক অ্যাকাডেমি, গার্লস স্কুল, জেলখানা সড়ক, গণপূর্ত কার্যালয়সহ কয়েকটি স্থাপনা পানিতে তলিয়ে গেছে এবং বাসা বাড়ি হাঁটু পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে।

এতে সাধারণ মানুষ ও স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পানি দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হন। পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারে নাজুক। ময়লা আবর্জনায় ভর্তি ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয় অতি ধীরগতিতে। পাশাপাশি পরিকল্পনাহীন বাড়ি-ঘর নির্মিত, খালগুলো দখল করে নেয় প্রভাবশালীরা।

মাইজদী শহরের জলাবদ্ধতার ওপর প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় দফায় দফায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও কার্যত জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, জলাবদ্ধার নিরসনে কোনো গরজ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নিতে বুধবার দুপুরে শহরের আল-ফারুক অ্যাকাডেমির কয়েকশ’ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ডিসি অফিস ঘেরাও করে। তারা অবিলম্বে পানি নিষ্কাশন ও জলাবদ্ধতা নিরসনে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বরাবর দাবি জানান।

নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা আরজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ভোর থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৯২ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এ বছরের রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়।

জেলা শহর মাইজদীতে জলাবদ্ধার বিষয়ে নোয়াখালীর প্রশাসক ইসতিয়াক আহমেদের মতামত জানার জন্য মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোন রিসিভ না হওয়ায় মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।