আগামী নির্বাচন হবে সবার মত প্রকাশের নির্বাচন : ডা: তাহের

বিভিন্ন সময়ে জামায়াতের ৬২ জন এমপি ছিলেন, কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ হয়নি এবং মামলাও হয়নি।

সিরাজুল ইসলাম ফরায়েজী, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)

Location :

Cumilla
বক্তব্য রাখেন  ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের
বক্তব্য রাখেন ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের |নয়া দিগন্ত

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। সকলের মত প্রকাশের নির্বাচন। আমরা সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরুতে বিশ্বাস করি না। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। সুতরাং জামায়াত ক্ষমতা পেলে কাউকে নির্যাতন করা হবে না।‘

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত গুনবতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘এ দেশের মানুষ এক নতুন বাংলাদেশ দেখবে। যেখানে কোনো সন্ত্রাস ও দুর্নীতি থাকবে না। কারণ, জামায়াতের দু’জন মন্ত্রী ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পায়নি। আর আমাকে গ্রেফতারের পর বারবার চেষ্টা করেও কোনো দুর্নীতি পাওয়া যায়নি। পরে দুদক স্বীকার করেছে, তথ্যগত মিসগাইডের কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে জামায়াতের ৬২ জন এমপি ছিলেন, কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ হয়নি এবং মামলাও হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি বৃহত্তম দল ছিল। সেই বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি। আর জনপ্রিয় হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এর প্রমাণ ডাকসু, জাকসু, রাকসু ও চাকসু নির্বাচন। ইউনিভার্সিটিগুলোর শিক্ষার্থীরা ছাত্রশিবিরকে বেছে নিয়েছে। আগামীর নির্বাচন হবে সত্যের পক্ষের নির্বাচন।’

গুনবতী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মো: ইউসুফ মেম্বারের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ডা: মন্জুর আহমেদ সাকির সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মু: মাহফুজুর রহমান ও জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ভিপি শাহাব উদ্দিন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শূরা সদস্য আইয়ুব আলী ফরায়েজী, ইউনিয়ন ব্যাংকের সাবেক এমডি সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা জামায়াতের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইবরাহীম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মু: বেলাল হোসাইন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক সৈয়দ একরামুল হক হারুন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জামায়াতনেতা মেশকাত উদ্দিন সেলিম, শিবিরের কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের সাবেক অফিস সম্পাদক আবু সাঈদ মজুমদার, গুনবতী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল হাই, শ্রীপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা নুরুজ্জামান খোকন, কনকাপৈত ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন মজুমদার, জগন্নাথদীঘি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান, কালিকাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো: রুহুল আমিন, হেফাজতে ইসলাম গুনবতীর আমির মাওলানা নিজাম উদ্দিন, গুনবতী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি আবদুর রাজ্জাক শাহীন, সনাতন ধর্মাবলম্বীর প্রতিনিধি বিপ্লব চন্দ্র দাস, গুনবতীর শহীদ সাহাব উদ্দিনের বাবা আবদুল হক, আ’লীগের হামলায় দু’চোখ হারানো শিবিরকর্মী জহির উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

এ সময় রমনা কারের স্বত্বাধিকারী রহমত উল্যাহ ফরাজী, আবাবিল হজ্জ গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মো: আবু ইউসুফ, কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মু: খাইরুল ইসলাম, সাবেক শিবির নেতা ও অস্ট্রিয়া প্রবাসী মো: শাহাদাত হোসাইন, বাতিসা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক মজুমদার খোকন, শিবির নেতা নাজমুল হক মোল্লা বাদল, দশবাহা মাদরাসা মুহতামিম মাওলানা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জামায়াত নেতা জাফর আহমেদ শিপন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ চৌদ্দগ্রাম সভাপতি কামাল উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নেতা মাওলানা হামিদুল্লাহ, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা দক্ষিণ শিবির সভাপতি রিফাতুল ইসলাম সানি, গুনবতি ইউনিয়ন শিবির সভাপতি নাবিল ফরায়েজী, সাবেক ছাত্রনেতা আবুল হোসেন, আব্দুল আজিজ, নিজাম উদ্দিন, আব্দুল হামিদ, মাইনউদ্দিন ভূইয়া, রফিকুল ইসলাম মিয়াজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জনসভায় গুনবতী ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় কয়েক হাজার জনতা উপস্থিত ছিলেন।